কোর্ট মসজিদে জুমার খুৎবায় মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান আজহারী
এম এ মজিদ ॥ হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট জামে মসজিদে ১০ অক্টোবর জুমার খুৎবায় মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান আজহারী বলেছেন- একজন মুসলমানের জীবনে নামাজের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। মুসলমানের ব্যক্তি জীবনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নামাজের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ থাকতে পারে না। অথচ নামাজের ব্যাপারে আমরা চরমভাবে গাফেল। জুমার নামাজে যে মুসল্লী হয়, অন্যান্য নামাজে সেরকম মুসল্লী মসজিদে দেখা যায় না। দিনের চার ওয়াক্ত নামাজে যে মুসল্লী হয়, ফজরের নামাজে মসজিদগুলোতে ইমাম মুয়াজ্জিন আর হাতে গোনা কয়েকজন মুসল্লী ছাড়া সবাই ঘুমে থাকেন। আজান শুনলে মসজিদে চলে আসতে হবে। অতি জরুরী কোনো কারণ ছাড়া মসজিদ এসে জামায়াতের সাথে নামাজ না পড়লে সেই নামাজ হবে না। দেশে ইসলাম কায়েম থাকলে যারা নামাজ আদায় করে না তাদেরকে শাস্তি দেয়া হতো। বেনামাজীকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হতো। বেনামাজীকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার বিধানও ইসলামে রয়েছে। ইসলাম নামাজকে এতো গুরুত্ব দিয়েছে অথচ আমরা দেই না। আমরা কিসের মুসলমান, আমরা নিজেরাও তা জানি না।
মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল। হবিগঞ্জের ডিসি সাহেব হবিগঞ্জের দায়িত্বশীল। হবিগঞ্জ সম্পর্কে তাকে জবাবদিহী করতে হবে, একজন ইমাম সাহেবকে মসজিদ এলাকার মুসল্লীদের বিষয়ে তাদেরকে ইসলাম সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে কি না সে ব্যাপারে জবাবদিহী করতে হবে। পরিবারের কর্তা ব্যক্তিকে স্ত্রী ছেলে মেয়ে সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কেউ জবাবদিহী থেকে পার পাবে না। প্রত্যেকটি ঘরে নামাজীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। অতি জরুরী কারণে মসজিদে আসতে পারছেন না, বাসায় জামায়াতের সাথে নামাজ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে নিজের ছেলেকে মুসল্লী বানান, আপনি নিজে ইমাম হন, ছেলে নাই? মেয়ে বা স্ত্রীকে পিছনে দাড় করিয়ে নিজে ইমামতি করে জামায়াতের সাথে নামাজ আদায় করুন। তারপরও জামায়াতে নামাজ আদায় করতে হবে। মনে রাখতে হবে মোনাফিক হয় মুসলমানদের মধ্য থেকে। যারা মিথ্যা কথা বলে, আমানতের খেয়ানত করে তারা মুনাফিক। ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর একমাত্র মনোনিত ধর্ম। ইসলাম ধর্মের বিধি বিধান পালনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।