গত ২৮ জুলাই ২০২৫ইং তারিখে হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার ও দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকার ১ম পাতায় “ইকরামে আখড়া’র দখলকৃত জায়গা উদ্ধারে পুলিশের অভিযান” শিরোনামের সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদে যে সব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে সুজাতপুর ইউনিয়নের সাবেক এক চেয়ারম্যানের কাছে আখড়ার কোটি টাকা মূল্যের ৮ কেদার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত পুকুর লিজ দেন আখড়া পরিচালনা কমিটির সাবেক নেতৃবৃন্দ, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। উত্তর সাংগর, শতমুখা ও ইকরাম গ্রামের (তিন গ্রামের) আখড়ার ভক্তবৃন্দ তৎকালিন আখড়া কমিটির সভাপতি হর কুমার সরকারকে আখড়ার জমি বিনিময় করার জন্য রেজুলেশন করে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এরপর আখড়া কমিটির সভাপতি হর কুমার সরকার এর সাথে আমার জমি বিনিময় হয়। যা বিনিময়ের কাগজ আমার কাছে রয়েছে, এমনকি বানিয়াচং এর এসএসপি সার্কেল ও বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকটও বিনিময়ের কাগজপত্র ও প্রমাণাদি ইতিপূর্বে দাখিল করিয়াছি। বিনিময়ের মাধ্যমে জায়গা পাওয়ার পর আমি উক্ত জায়গায় পুকুর খনন করার জন্য জায়গা মর্গেজ দিয়ে সুজাতপুর কৃষি ব্যাংক থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে পুকুর খনন করি। বর্তমানে পুকুরে মাছ চাষ করে ভোগ দখল করে আসছি। এমনকি মাঠ জরিপে আমিন আমার দখলকৃত জায়গা বাস্তবে প্রমাণ পাওয়ায় মাঠ পর্চা প্রদান করেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রেকর্ড রোম থেকে আমাকে আরএস পর্চাও প্রদান করা হয়। আমার ভোগ দখলকৃত জায়গায় একটি কুচক্রিমহলের কুদৃষ্টি পড়ে। তারা বেআইনীভাবে জোর জবরদস্তির মাধ্যমে উক্ত জায়গা দখল করার পায়তারা করছে জেনে আমি সিনিয়র সহকারী জজ বানিয়াচং আদালত হবিগঞ্জে একটি মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে বেদখল হওয়া আখড়ার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি পুনরায় উদ্ধারের জন্য গতকাল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ পরিদর্শনে যান যা আমি তখনকার সময়ে অবগত ছিলাম না। পরবর্তীতে জানতে পেরে উনার সাথে যোগাযোগ করে আমার কাগজপত্রাদি উনার কাছে দাখিল করি।
সংবাদে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, আখড়ার জায়গা উদ্ধারের জন্য আখড়া কমিটির সভাপতি গোপাল সরকার হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখে আখড়া কমিটির সভাপতি গোপাল সরকার পত্রিকায় বিবৃতিতে দিয়ে বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আছকির মিয়া (সামদু) আখড়া কমিটির কোন কাজের সাথে জড়িত নন, এমনকি পুকুর দখল বা গাছ কাটার সাথে তিনি সম্পৃক্ত নন। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। তাই আমি গতকালের পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আছকির মিয়া (সামদু)
সাবেক চেয়ারম্যান
সুজাতপুর ইউপি, বানিয়াচং।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com