
পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের ডাকঘর এলাকাস্থ দেয়ানত রাম সাহার বাড়ি এলাকার এসএসসি ফল প্রত্যাশী জনি দাস হত্যাকা-ের ৫ দিনের মাথায় ঘাতক সাজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রবিবার ভোরে শহরের কামড়াপুর এলাকা থেকে সাজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাজু মিয়া আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামের মৃত খোশমান মিয়ার ছেলে। সে হবিগঞ্জ শহরের নাতিরাবাদ এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতো।
এর আগে, শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে নিহত জনির বাবা নরধন দাস বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোরে জনি দাস ও তার বড় ভাই জীবন দাস জয় নিজ বাসায় চুরি করতে আসা এক ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন। এ সময় ওই ব্যক্তি তাদের উপর ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন। বড় ভাই জীবন দাস জয় এখনো চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তদন্তে নামে। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মূল সন্দেহভাজন হিসেবে সাজু মিয়াকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাজু মিয়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে এটি পরিকল্পিত হত্যাকা- ছিল না, চুরির উদ্দেশ্যেই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় বলেও জানান তিনি। এ মামলায় আর কেউ জড়িত নয়। সেই হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। বিকেলে সাজু মিয়াকে আদালতে নেয়ার পর সে আদালতে স্বীকারোক্তি না দেয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। তবে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে জনি হত্যার পর আসামি গ্রেফতারের দাবিতে শহর উত্তাল হয়ে উঠে। প্রতিদিনই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করে আসছেন এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল।