স্টাফ রিপোর্টার ।। হবিগঞ্জ শহরের ভূয়া প্রফেসর ডাঃ আব্দুর রহমানকে এক মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে চিকিৎসকের সর্বো”চ পদমর্যাদা অধ্যাপক ও ডাক্তার পরিচয় ব্যবহার করে রোগীদেরকে চিকিৎসা দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। হাতিয়ে নিচ্চিলেন মোটা অংকের টাকা।

চিকিৎসক না হয়েও অধ্যাপক ডাক্তার পরিচয়ে রোগী দেখার বিষয়টি জানতে পারে প্রশাসন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ শহরের রাজনগরে তিনি যে ক্লিনিকে বসে রোগী দেখেন সেখানে অভিযান চালায় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট। অভিযানকালে মোবাইল কোর্টের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রনজিৎ চন্দ্র দাস কথিত ডাঃ আব্দুর রহমানের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হন তিনি একজন ভূয়া চিকিৎসক। নিজের নামে আগে ‘প্রফেসর ডাক্তার’ ব্যবহারের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। তিনি অপরাধ স্বীকার করেন এবং নিজেকে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে দাবি করেন। অপরাধ স্বীকার করায় মোবাইল কোর্টের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রনজিৎ চন্দ্র দাস তাকে এক মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনজিৎ চন্দ্র দাস জানান, আব্দুর রহমান একজন ফিজিওথেরাপিস্ট হলেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি রোগীদের ওষুধ লিখে দিচ্ছিলেন এবং নিজেকে ‘প্রফেসর ডাঃ আব্দুর রহমান’ পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠলে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।