শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে সৈয়দ মোঃ ফয়সল
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য, সায়হাম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ মোঃ ফয়সল বলেছেন- আমি সরকারি কোন দায়িত্ব না পেয়েও সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে আমার নির্বাচনী এলাকা হবিগঞ্জ-৪ এ শিক্ষা বিস্তারে কাজ করে যাচ্ছি। মাধবপুর উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলাকায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এলাকার গরীব, অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি। অর্থের অভাবে আমার এলাকার কোন মেধাবি শিক্ষার্থীর লেখাপড়া যাতে বন্ধ হয়ে না যায় সেজন্য প্রতি বছর উপজেলার ৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ হাজার ৬ শত শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করার জন্য ৩২ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করে যাচ্ছি। এ ছাড়া সমগ্র উপজেলার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের এস.এম ফয়সল মেধা বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে মেধাবিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার এবং তার দোসররা আমাকে এসব জনকল্যাণ মূলক কাজ করতে গিয়ে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। আমার পরিবারের দেয়া সৈয়দ সঈদউদ্দিন ডিগ্রী কলেজের নাম হাইজ্যাক করে নিয়ে গিয়েছিল। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর নতুন বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার দাবির প্রেক্ষিতে আবার সেই নাম ফিরে পেয়েছি। আপনারা আমার পাশে থাকলে আমি মাধবপুর-চুনারুঘাটকে আধূনিক উপজেলায় রূপান্তিত করব ইনশাল্লাহ।
সৈয়দ মোঃ ফয়সল শনিবার সকালে সায়হাম কটন মিলের মাল্টিপারপাস হলরুমে উপজেলার ৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ হাজার ৬ শত শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করার জন্য ৩২ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সায়হাম কটন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আহমদ বলেন- আজকের যারা শিক্ষার্থী তারাই আগামী দিনে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিবে। আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে এখন মেধা ও কর্মের প্রতিযোগীতা হচ্ছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে ঠিকে থাকতে হলে মানসম্পন্ন লেখাপড়া করতে হবে। কোন মেধাবি ও দরিদ্র ছেলেমেয়ের যাতে অর্থের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ না হয় সেদিকে আমাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। ৩২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আজ (শনিবার) ৯টি প্রতিষ্ঠানের ৪৫০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে ২টি ভেন্যুতে আরও ২৩টি বিদ্যালয়ে ২৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হবে।
মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ মোঃ শাহজাহান, ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারম্যান সৈয়দ আতাউল মোস্তফা সোহেল। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ, অধ্যক্ষ মাওলানা আমির হোসেন, সিনিয়র সহকারি শিক্ষক আবিদ মিয়া, ইমাম মাওলানা কামরুল হাসান, প্রধান শিক্ষক আজগর আলী, শিক্ষার্থী শাকিব আল মাহমুদ, শাকুরা জাহান প্রমুখ।