স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের জনতার বাজারে মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পশুরহাট বসানো এবং দায়িত্ব পালনরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামী ধরতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হয়েছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, পুলিশের হাত থেকে ধৃত এক আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে এ বিষয়ে পুলিশ মুখ খুলতে চাইছে না।
সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ আসামীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় নজির মিয়া নামের এক আসামীকে পুলিশ আটক করে। এ খবর পেয়ে মামলার অন্য কয়েক আসামীসহ তাদের স্বজনরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়ে আটক নজির মিয়াকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, আসামী নজর উদ্দিন ওরফে নজির মিয়াকে যখন পুলিশ আটক করেন, এর কিছুক্ষণ পর আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেল এর সহকারি পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- এ বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে ওই মামলার আসামীদের ধরতে পুলিশ অব্যাহত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, গজনাইপুর ইউনিয়নের জনতার বাজার পশুরহাটটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এবং এটি কোনো অনুমোদিত হাট নয়। দীর্ঘদিন ধরে একটি কমিটি এ হাটটি পরিচালনা করে আসছে। জেলা প্রশাসনের একাধিক নিষেধাজ্ঞা ও সতর্কতা সত্ত্বেও বাজার কমিটি হাট বন্ধ করেনি। গত ৩১ মে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রায় ৭০ জন পুলিশ, আনসার ও সেনাবাহিনীর সদস্য নিয়ে সরেজমিনে জনতার বাজার পশুরহাট এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় বেলা ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে হাট কমিটির নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্যরা সংঘবদ্ধ হয়ে বেআইনিভাবে সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেন। অভিযুক্তরা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অসম্মানজনক আচরণ ও শারীরিক হামলা চালায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের একজনকে মারধরের অভিযোগও রয়েছে। পরে পুলিশের সহায়তায় ম্যাজিস্ট্রেটগণ নিরাপদে স্থান ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় ১ জুন পানিউমদা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার মো: নজর উদ্দিন তালিকাভূক্ত আসামী।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com