স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা, মুসলিম উম্মাহর অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। এই দিনটি হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর ত্যাগের স্মৃতিবিজড়িত, যিনি আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। এ ঘটনার স্মরণে মুসলমানরা আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ, দুম্বা বা উট কোরবানি করেন, যা ইসলামে ওয়াজিব। ঈদুল আজহার মূল প্রতিপাদ্য হলো ত্যাগ ও আত্মসমর্পণ। মুসলিম উম্মাহ ফজরের নামাজের পর ঈদগাহে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করেন। এই উৎসবের সঙ্গে পবিত্র হজের সম্পর্ক রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মক্কার কাছে আরাফাতের ময়দানে প্রায় ১৫ লাখ হাজির সমবেত হওয়ার মধ্য দিয়ে হজ পালিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সৌদি আরবে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে, যেখানে হাজিরা মুজদালিফা থেকে ফিরে মিনায় পশু কোরবানিসহ হজের অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে ঈদুল আজহা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। হবিগঞ্জসহ সারা দেশে পশুর হাটে গত কয়েক দিন ধরে জমজমাট বেচাকেনা চলছে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য ইতিমধ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হবিগঞ্জ জেলায় নিজ নিজ বাড়িতে ফিরেছেন, অনেকেই ফেরার পথে রয়েছেন। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে ঈদুল আজহার ১০ দিনের ছুটি।
ঈদ উপলক্ষে দেশের হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, এতিমাখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। সরকার ঈদের ছুটিতে সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘœ হয়।