উত্তোলিত বেতন সরকারি কোষাগারে ফেরতের নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জে জহুর চান বিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে অধ্যক্ষ পদে প্রতি মাসে ৪৩ হাজার টাকার বেতন স্কেলে গৃহীত ৯ লাখ ১৯ হাজার ৮শ’ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেয়ার জন্য তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর পর থেকে উত্তোলনকৃত সকল বেতন ভাতাদি একইভাবে সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। গত ২৯ জানুয়ারি এ নির্দেশ দেয়া হলেও তা আমলে নিচ্ছেন না অধ্যক্ষ। শুধু তাই নয়, কলেজ গভর্নিংবডি এ ব্যাপারে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে। কার্যতঃ জহুর চান বিবি মহিলা কলেজ অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুর চান বিবি মহিলা কলেজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করতে গিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুনের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ অবৈধ ধরা পড়ে। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জহুর চান বিবি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের সময় যাচাইকালে আব্দুল্লাহ আল মামুন উল্লেখ করেন, এর আগে তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদ্রাসায় ০১/০৭/২০২৪ইং তারিখ থেকে ১৫/১১/২০২০ইং তারিখ পর্যন্ত প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। উত্থাপিত অভিজ্ঞতার সনদে ইস্যু নম্বর নেই এবং তারিখবিহীন স্বাক্ষর করা হয়েছে। তার প্রভাষক পদে নিয়োগ রেকর্ড যাচাইয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। প্রভাষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিধি মানা হয়নি। ফলে প্রভাষক পদের অভিজ্ঞতা অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি গত ২৫/০২/২০২১ইং তারিখে জহুর চান বিবি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করে ৪৩ হাজার টাকার স্কেলে এমপিওভুক্ত হন। ওই তারিখ থেকে গত ৩০/১১/২০২২ইং তারিখ পর্যন্ত ৯ লাখ ১৯ হাজার ৮শ’ টাকা বেতন উত্তোলন করেন। যা সরকারি কোষাগারে ফেরতযোগ্য। এছাড়া উক্ত তারিখের পর থেকে যে বেতন তিনি উত্তোলন করেছেন তাও সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৯ জানুয়ারি নিরীক্ষার প্রতিবেদন কলেজে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি বরাবরে এর অনুলিপি প্রেরণ করা হলেও অদ্যাবধি কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের অধিদপ্তর থেকে এ প্রতিনিধিকে জানানো হয়- ইতিমধ্যে গভর্নিংবডি ওই অধ্যক্ষের ব্যাপারে অবশ্যই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কথা। আব্দুল্লাহ আল মামুনের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ। উক্ত পদে কলেজে থাকার তার কোন সুযোগ নেই। অধিদপ্তর থেকে আরও জানানো হয়- গভর্নিংবডি যদি তাকে ওই পদে রেখে কাজ করার সুযোগ দেয় তাহলে এর দায় তাদের বহন করতে হবে।