![](https://dailyhabiganjermukh.com/wp-content/uploads/2025/02/003-4.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কালনী গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রবাসী কাজী দিপু নিহতের ঘটনায় প্রতিপক্ষের পুরুষশূন্য বাড়িতে অব্যাহত ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও লুটপাট থামছে না। লুটপাটের মামলার আসামীদেরও রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার না করায় বাদীপক্ষের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, কালনী গ্রামের কাজী ফরিদ মিয়া এবং ইউপি মেম্বার লুৎফুর রহমান শাস্তু মিয়ার গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে গত ২২ জানুয়ারি বিকেলে উভয়পক্ষের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে কাজী ফরিদ মিয়ার পক্ষের কাজী দিপু মিয়া নিহত হন। আর উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হন। দিপু মিয়া নিহতের ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ইউপি মেম্বার লুৎফুর রহমান শাস্ত মিয়ার পক্ষের লোকজন পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে বাড়িঘর ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। ঘটনার পর থেকেই কাজী ফরিদ মিয়ার পক্ষের লোকজন ইউপি সদস্য শাস্তু মিয়া পক্ষের ৪০/৪৫টি বাড়ি ভাংচুর করেছে এবং এসব বাড়ি থেকে ধান, চাল, গরু, ছাগল, হাঁস, মোরগ, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রসহ প্রায় কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ৬ জানুয়ারি ৭৮ জন আসামী করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় ইউপি সদস্য লুৎফুর রহমান শাস্তুর স্ত্রী মাজেদা আক্তার বাদী হয়ে লুটপাট মামলা দায়ের করলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে আসামী গ্রেফতার না করায় এ নিয়ে মামলার বাদীপক্ষের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী মাজেদা আক্তার জানান, মামলা দায়েরের পরও বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট হচ্ছে। রবিবার রাতে আমাদের পক্ষের ভাংচুরকৃত বাড়ি থেকে এখন টিন খুলে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে পুলিশকে জানানো হলেও তারা যাই যাচ্ছি বলে সময় কর্তন করেন। অথচ কালনী সদর থানার নিকটবর্তী একটি গ্রাম। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবির বলেন, বর্তমানে ভাংচুরের ঘটনা ঘটনা ঘটে নাই। পুলিশ এখনও ঘটনাস্থলে রয়েছে। যখনই সংবাদ পাই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু পুলিশ যাওয়ার পর লুটপাটকারীদের ঘটনাস্থলে পাওযা যাচ্ছে না। তবে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।