হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন
কাজল সভাপতি ও মতিন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, জনগণ আসল নির্বাচন চায়। যেখানে জনগণ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন- ২০০৮ এর নির্বাচন নাকি ষড়যন্ত্রমূলক ছিল। ২০১৪ এর নির্বাচন ছিল ভোটার বিহীন। ২০১৮ এর নির্বাচন ছিল নৈশ ভোটের নির্বাচন। আর ২০২৪ এ হয়েছে আমি আর ডেমির নির্বাচন।
শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
ডা. জাহিদ হোসেন আরো বলেন- নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমের উপরই নির্ভর করছে মানুষ তাদের কিভাবে মূল্যায়ন করবে। জনগণ আশা করছে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা করার দরকার তারা সেটি করবেন। যত দ্রুত সম্ভব জনগণের অধিকার আদায়ের সুযোগ দেবেন। জনগণের মালিকানা জনগণ যাতে ফেরত পায় সে পরিবেশ সৃষ্টি করবেন। তাহলেই আমরা বুঝতে পারব তারা কি ধরণের শক্তিশালী, মেরুদন্ড কতটুকু শক্ত। নির্বাচন কমিশন কি করবে আগামী দিনই বলে দেবে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ জি কে গউছ বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের সময় আমরা বার বার উদ্যোগ নিলেও তথাকথিত প্রশাসনের হস্তক্ষেপের কারণে একটি কাক্সিক্ষত কাউন্সিল এবং সম্মেলন করতে পারিনি। আজ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে আমরা একটি সুন্দর পরিবেশে সম্মেলন করছি। এর মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে বলে আমি মনে করি। নেতাকর্মীদের উচ্ছাস দেখে আমরাও উচ্ছসিত।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা: সাখাওয়াত হাসান জীবন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন ও মিফতাহ সিদ্দিকী।
কাউন্সিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহিন। নির্বাচন শেষে তিনি ফলাফল ঘোষণা করেন।
কাউন্সিলে ৫টি পদের বিপরীতে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এতে ৫৬৮ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনী ফলাফল নি¤œরূপ:
সভাপতি পদে আজিজুর রহমান কাজল ৪৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আবুল কালাম পেয়েছেন ৫০ ভোট। সিনিয়র সহ সভাপতি পদে আজম উদ্দিন ৪৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জয়নাল আবেদিন পেয়েছেন ৬৭ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে শামসুল ইসলাম মতিন ৩৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি এম এ মান্নান পেয়েছেন ১৯৫ ভোট। সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে কাজী শামসু মিয়া ২৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শাহ মশিউর রহমান কামাল পেয়েছেন ২৫৩ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এস এম মানিক ৪৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রফিকুল ইসলাম বিপ্লব পেয়েছেন ৭৫ ভোট। মোট ভোটার ৫৬১, কাস্টিং ভোট ৫৪১।