সেনা বাহিনী ও হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ ভুক্তভোগীদের
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল এলাকার অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ডটি অবৈধ দখলের অভিযোগ উঠেছে। এতে নিরূপায় হয়ে পড়েছেন সাধারণ চালকরা।
জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা-সিলেট বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স বহুদিন যাবত চলাচল করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে সিরিয়াল ঠিকমতো না মেনে একটি চক্র তাদের ভাঙা চোরা অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে রোগী নিয়ে ঢাকা-সিলেট চলাচল করার সুযোগ দিচ্ছে। এতে বেকায়দায় পড়েছেন নিরীহ অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। তারা সারাদিনে একবারও রোগী নিয়ে চলাচল করতে পারছেন না। এ অবস্থায় তাদের মাঝে সৃষ্টি হয় বিরোধ। এ বিরোধ চরম আকার ধারণ করলে রোগীরা পড়েন ভোগান্তিতে। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের বিরোধ নিরসনের লক্ষ্য সম্মিলিত ভাবে এক শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত বছর গঠিত হয় হবিগঞ্জ জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি। উক্ত সমিতির সভাপতি মনোনীত হন দি ল্যাব এইড হাসপাতালে মশিউর রহমান শামিম ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন মোস্তাফিজুর রহমান ময়না। এর পর থেকে জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি, জেলা প্রশাসক ও সাবেক পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপে হাসপাতাল এলাকা যানজট মুক্ত রাখার জন্য সবার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল চালকরা সুন্দর ভাবে সিরিয়াল মেনে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়। এর পর থেকে একটি কাউন্টারের মাধ্যমে সিরিয়াল নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়ে আসছিলেন চালকরা। কিন্তু গত ১০ আগস্ট শহরের অনন্তপুর এলাকার আঃ গফুর, কদ্দুস মিয়াগং জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির অনুমতি ছাড়াই জোরপূর্বক স্ট্যান্ডটি দখল করে নেন। এমনকি অ্যাম্বুলেন্স চালক ও মালিকদের জিন্মি করে জন প্রতি এক হাজার টাকা করে ভুয়া রিসিট বানিয়ে ৫০টি গাড়ি থেকে টাকা আদায় করছেন তারা। শুধু তাই নয়, প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে প্রতিদিন ১শ’ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। অনেকেই চাঁদা নিতে অনীহা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া টাকার বিনিময়ে তাদের পছন্দের গাড়িগুলোকে চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে। তাদের এহেন অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে চালকদের উপর চলে নির্যাতন। এতে ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। অনেক অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও চালক নিরাপত্তার অভাবে গাড়ি বন্ধ করে রেখেছেন বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন চালক জানান, ওই প্রভাবশালীরা তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে একটি নতুন নামধারী অ্যাম্বুলেন্স মালিক শ্রমিক নামে সমিতি গঠন করে চাঁদা আদায় করে আসছে। এ ব্যাপারে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ চালকরা। তাছাড়া এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী ও হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।