ছনি আহমেদ চৌধুরী, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজারে সৌদি আরব প্রবাসী সোহান আহমেদকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজারে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইনাতগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান নোমান হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান মসুদ আহমেদ জিহাদী, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য দিলবার হোসেন, আলাল মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, আজিজুর রহমান প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন- গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ইনাতগঞ্জের একদল সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারী প্রকাশ্যে দাঁড়ালো ছুরি দিয়ে সোহানকে কুপিয়ে হত্যা করে। ইতিপূর্বে একাধিক অপরাধমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে এই চক্র জড়িত। বক্তাগণ এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবী জানাণ। অন্যতায় বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলে হুশিযারী উচ্চারণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত দুই সপ্তাহ পূর্বে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের সিরাজ মিয়া ছেলে সোহান আহমদ। স্বপ্নের দেশ যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য কিছুদিন পূর্বে পাঞ্জারাই গ্রামে বিয়ে করেন সোহান। সোমবার সন্ধ্যায় ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের পুত্র নুরকাছ ও তার সহযোগীরা সোহানের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তাদের হাত থেকে বাঁচতে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে সোহান। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইনাতগঞ্জ বাজারের গলিতে ফেলে প্রকাশ্যে নুরকাছ ও তার সহযোগীরা দাঁড়ালো ছুরি দিয়ে সোহানকে একাধিক জখম করে। এসময় সোহানকে বাঁচাতে মোসাদ্দেক ও শহীদুল্লা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সোহান ও মোসাদ্দেককে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অপর আহত শহীদুল্লাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহানের মৃত্যু হয়। বিয়ের মেহেদির রং মোছার আগেই সোহানের চলে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে আসে।