সুমন আহমেদ বিজয় ॥ লাখাই উপজেলার ৫নং করাব ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ সফিক মিয়ার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ইউএনও বরাবরে আবেদন করেছেন ৬নং ওয়ার্ডের সর্বসাধারণের পক্ষে কয়েকজন ভুক্তভোগী।
গত ৯ অক্টোবর লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা বরাবরে লিখিত আবেদন করেন করাব ইউনিয়নের গুনিপুর গ্রামবাসীর পক্ষে মোঃ শফিকুল আলম খান, আবদুল আওয়াল খান, আবদুল ওয়াদুদ খান।
লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য মোঃ সফিক মিয়া নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচীর আওতায় উপজেলা পরিষদ এর অনুকূলে ১ম ও ৩য় কিস্তির প্রকল্পের তালিকায় উল্লেখিত গুনিপুর পিআইও কালভার্ট হতে খালের পাড় পর্যন্ত রাস্তা পুনঃনির্মাণ ৪.০০ টন, ৬নং ওয়ার্ডের গুনিপুর হরিনাকোনা রাস্তা সেলু মিয়ার বাড়ির উত্তর পাশের রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়ন ২.১০০ টন ও ৬নং ওয়ার্ডের হরিনাকোনা রাস্তার ছোরাবের বাড়ীর পাশের রাস্তা মাটি ভরাট দ্বারা উন্নয়ন ২.১০০ টন। উল্লেখিত প্রকল্পের কোন প্রকার কার্যক্রম এখনো শুরু কিংবা সম্পন্ন করা হয়নি।
আরও জানা যায় উল্লেখিত প্রকল্পের নির্মাণ কাজের বিষয়ে ইউপি সদস্য মোঃ সফিক মিয়াকে ইতিপূর্বে গ্রামের সাধারণ জনগণ মিলে একাধিকবার জিজ্ঞাসা করলে কোন প্রকার সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
লিখিত আবেদনে ইউপি সদস্য মোঃ সফিক মিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সরজমিনে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মোঃ সফিক মিয়াকে মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রাকিবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ১৬ অক্টোবর বুধবার সরেজমিনে কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম, যেহেতু প্রকল্পের সভাপতি অনুপস্থিত সেহেতু করাব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য। তিনি আরো জানান প্রকল্পের অর্ধেক টাকা ইউপি সদস্য মোঃ সফিক মিয়াকে দেওয়া হয়েছে বাকী অর্ধেক টাকা আমাদের কাছে আছে।
এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানার সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, ইউপি সদস্য সফিক মিয়ার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।