স্টাফ রিপোর্টার ॥ পিতার পেনশনের টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে ঘুষ দিতে না পাড়ায় জেলা শিক্ষা অফিসে হয়রানির শিকার হয়েছেন এক প্রতিবন্ধী। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে গতকাল রবিবার মোঃ শেখ ফরিদ নামে ওই ভুক্তভোগী জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, সদর উপজেলার বাতাসর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলার সোয়ারগাঁও এলাকার সিরাজ উদ্দিন আহমদ। তার মৃত্যুর পর পারিবারিক পেনশন ভোগ করেন তার স্ত্রী মোছাঃ আনজুমুন নেছা। আনজুমুন নেছা অসুস্থ হয়ে পড়লে ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে তার মৃত্যুর পর প্রতিবন্ধী ছেলে মোঃ শেখ ফরিদকে পারিবারিক পেনশন দেওয়ার আবেদন করেন। যার পি,পি,ও নং ডিএও/হবি/১৬০। পেনশন মঞ্জুরী নং জেপ্রাশিঅ/হবি/পেনশন/৮৭/২৭৬/২, তাং ৩০/০১/৮৮ইং। এদিকে ২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট মোছাঃ আনজুমুন নেছা বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি মারা যাওয়ায় বিধি মোতাবেক পারিবারিক পেনশন পেতে প্রতিবন্ধী সন্তান মোঃ শেখ ফরিদ মঞ্জুরীর আবেদন করেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দিনের পর দিন ধর্ণা দিয়েও কোন সুরাহা করতে পারেননি তিনি, বরং জেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী সঞ্জিত দাস তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ দিতে না পাড়ায় প্রতিবন্ধী শেখ ফরিদকে বিভিন্ন কৌশলে হয়রানী করে আসছিলেন তিনি। এই হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেতে জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শেখ ফরিদ।