স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কটিয়াদি বাজারে দীপ্ত টিভি’র হবিগঞ্জ সংবাদদাতা ও দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচারের প্রধান প্রতিবেদক আখলাছ আহমেদ প্রিয়কে হত্যার হুমকি দিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন আখলাছ আহমেদ প্রিয়। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় অভিযুক্তরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাজারে খোঁজাখুঁজি করে ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন সন্ধ্যায় শরীফপুর গ্রামের সোহেল মিয়ার দোকানের সামনে রাসেলস ভাইপার ভেবে ২৯টি বাচ্চাসহ একটি সাপকে পিটিয়ে মারে স্থানীয় জনতা। এ বিষয়ে দীপ্ত টিভি ও দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচারে প্রতিবেদন করেন আখলাছ আহমেদ প্রিয়। এ নিয়ে গ্রামের আব্দুল মন্নাফের ছেলে আবুল খায়ের প্রিয় ভুয়া সাংবাদিক বলে তার ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দেয়। এতে অন্যান্য অভিযুক্তরা সাংবাদিক প্রিয়কে হেয় করে কমেন্ট করে। বিষয়টি গ্রামের মানুষের নজরে এলে অনেকের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সাংবাদিক প্রিয় তাকে ভুয়া সাংবাদিক প্রমাণ করতে তার ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিলে অভিযুক্তরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযুক্ত সাদেক মিয়াসহ তার সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্থানীয় কটিয়াদি বাজারে তাকে খোঁজাখুঁিজ করে এবং যেখানে পাবে প্রাণে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। এনিয়ে সাংবাদিক প্রিয় ও সাদেক মিয়ার পঞ্চায়েতের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এদিকে, এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিক প্রিয়। এ প্রেক্ষিতে সদর মডেল থানার এসআই সোহেল রানার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
সাংবাদিক আখলাছ আহমেদ প্রিয় বলেন, অভিযুক্তরা খুবই প্রভাবশালী। তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে। আমাকে ভুয়া সাংবাদিক বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রকাশ্যে প্রাণে হত্যার হুমকি দিচ্ছে এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাজারে খোঁজাখুঁজি করেছে। তারা যে কোন সময় আমার উপর হামলা করতে পারে। এতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই সোহেল রানা জানান, এ বিষয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত ক্রমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।