চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাতাবলা দাখিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার প্রধান মাওলানা খুরশেদ আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৮ মে বুধবার নবনির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির পক্ষে অভিভাবক প্রতিনিধি মোঃ খয়ার মিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল চুনারুঘাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে গাতাবলা দাখিল মাদ্রাসার অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থীতা বাছাইয়ের দিনে ইবতেদায়ী শাখার ভোটার তালিকামতে ৫ জন ভোটার সুপার ও সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে প্রকাশ করেন। ভোটার তালিকা পর্যবেক্ষণে দেখা যায় একজন ৫ম শ্রেণির ছাত্র তানজিম হোসেন তাহিম, পিতা- আলী হোসেন, গ্রাম- গাতাবলা, রোল নং-৯, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুপারকে প্রশ্ন করেন ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র তানজিম হোসেনের রোল-৯, আর বাকী ১নং হইতে ৮নং রোলের ছাত্র কোথায়। তখন তিনি জবাব দিতে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে সুপার বলেন, আমরা বেতন ভাতা উত্তোলনের জন্য খাতায় সেভাবে ভুয়া নাম সংযোজন করে থাকি। সিদ্ধান্ত হয় তালিকা পরিবর্তন করে নতুন তালিকা প্রনয়ণ করার জন্য। গত ১৫ মে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ইবতেদায়ী শাখায় একজন ভুয়া ছাত্র ৫ম শ্রেণিতে সাইফুল ইসলাম নামে ভর্তি দেখাইয়া ভোটার হিসাবে ভোট প্রয়োগ করেন। সে উপজেলার শান্তিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। সে উপজেলার নোয়াবাদ গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে এবং গাতাবলা দাখিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার ৫ম শ্রেণির ছাত্র এবং সেখানে তার পিতার নাম ফয়জুর রহমান। ওই ছাত্র শান্তিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উপবৃত্তি পায়। উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন যাবত সুপার সভাপতি ও ইবতেদায়ী শাখার প্রধান খুরশেদ আলী ভুয়া ছাত্র দেখাইয়া বেতন ভাতা গ্রহণ করছেন, যা সরকারি অর্থ আত্মসাতের সামিল। খুরশেদ আলী ইবতেদায়ী শাখার প্রধান তিনি মাদ্রাসার সরকারি গেজেট ২০০৯ সংশোধিত, ২০১২ ৪(খ) অনুযায়ী শিক্ষক প্রতিনিধি হিসাবে কোন প্রার্থী হতে পারেন না। তারপরেও সুপার এবং সভাপতির ক্ষমতা বলে তাকে ইবতেদায়ী শাখার ভুয়া ভোটার তৈরি করেন এবং সভাপতি মনিরুল ইসলাম পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য গত ১৯ মে চুনারুঘাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে তার সমর্থনে স্বাক্ষর প্রদান করেন। যা সরকারি মাদ্রাসার গেজেটের এবং আইনের পরিপন্থি। ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার উপর ভিত্তি করে সরকার কর্তৃক কিছু ট্যাব প্রদান করা হয়েছিল। সুপার কিছু সংখ্যক ট্যাব বিতরণ করে বাকীগুলো আত্মসাৎ করেছেন।