স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে লিখিত জবাব দিয়েছেন। গতকাল দুপুরে তার জবাব নিয়ে আসেন সহকারি প্রকৌশলী। পরে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জবাবটি গ্রহণ করে শুনানীর জন্য আগামী ১০ জুন তারিখ ধার্য্য করেন।
হবিগঞ্জে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় গত ৮ মে সদর উপজেলার সুঘর গ্রামের আইনজীবী সহকারি ময়না মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে হবিগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এর আদালত বৈদ্যুতিক গোলযোগ ও লোডশেডিং বিষয়ে আগামী ২৩ মে তারিখের মধ্যে ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুর মুর্শেদকে আদেশ দেন।
জানা যায়, সম্প্রতি হবিগঞ্জে ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রায়ও লোডশেডিং করা হয়। সামান্য ঝড় হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। বৈদ্যুতিক গোলযোগ ও লোডশেডিংয়ের ফলে গরমে মানুষের মৃত্যু ঝুঁঁকি দেখা দেয়। বিপিডিবির কাছে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ জানতে চাইলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায় না। বিদ্যুৎ অফিসে কোনো কিছু বিকল হলে তাদের গাফিলতিসহ ফোন রিসিভ না করারও অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের। ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ২৫ ধারায় প্রাপ্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৈদ্যুতিক গোলযোগ ও লোডশেডিং বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য আদালত নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুর মুর্শেদকে আদেশ দেন। বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক রাসেল।