স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে লুকোচুরি চলছে। যা স্কুলটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়- রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি হয়। যাতে গত ২ মার্চ মনোনয়নপত্র বিতরণ করার বিষয়টি রয়েছে। ৮ এপ্রিল মনোনয়ন যাচাই-বাছাই, ৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও একইদিন বৈধ তালিকা প্রকাশ এবং ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৮ এপ্রিল। কিন্তু বিষয়টি একেবারেই গোপন ছিল।
গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়। কিন্তু স্কুল নোটিশ বোর্ডে কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। মাইকিংয়ে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়ন সংগ্রহ করতে বলা হয়। কিন্তু সিডিউল অনুযায়ী মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাদানের সময় পেরিয়ে গেছে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
তেঘরিয়া ইউপির সাবেক সদস্য টেনু মিয়া বলেন- আমি একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক। ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পর্কে জানার জন্য গত কয়েক মাস ধরে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তিনি নির্বাচন প্রসঙ্গে আমাকে কোন সুনির্দিষ্ট তারিখ জানাননি। হঠাৎ গত সোমবার এলাকায় নির্বাচন নিয়ে মাইকিং শুনতে পাই। তিনি অভিযোগ করে বলেন- নির্বাচন নিয়ে প্রধান শিক্ষক তার স্বার্থে লুকোচুরি করেছেন। নির্বাচনের মাত্র ৬ দিন আগে মাইকিং করায় আমরা জানতে পেরেছি। এখন প্রার্থী হিসেবে মাত্র ৪/৫ দিনে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
স্কুলটির অভিভাবক সদস্য প্রার্থী শরীফ উদ্দিনও টেনু মিয়ার মতই বক্তব্য দিয়ে বলেন- নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে হলে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় দিতে হবে। নইলে ভোটারদের সাথে এত অল্প সময়ে যোগাযোগ করা সম্ভব না।
রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন বলেন- আমি ছুটিতে আছি। পবিত্র ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটির জন্য এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি মনোনয়ন ফরম বিতরণ হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও এলাকাবাসীর সাথে আলাপ-আলোচনা করে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব এম এ মোতালিব বলেন- এখন এলাকার সবাই ধান কাটায় ব্যস্ত রয়েছেন। যে কারণে আমি ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলাম। তারা খুব একটা কর্ণপাত করেননি।
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কমকর্তা মো. আবদুল জলিল বলেন- পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের বন্ধের জন্য রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছে। এখন সবার সাথে আলাপ-আলোচনা করে নির্বাচন প্রক্রিয়া নতুনভাবে করা হবে।