আক্তার হোসেন আলহাদী ॥ কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে বানিয়াচং উপজেলার হাওরাঞ্চলে ইরি ও বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। ঘন কুয়াশা ও শীত কাবু করতে পারেনি চাষিদের। তবে এখনো পুরোদমে ধানের চারা রোপণ শুরু হয়নি। এখনো চাষিরা অনেক জমি ধানের চারা রোপণের জন্য তৈরি করছেন এমনটায় দেখা গেছে। আবার অনেক চাষি শীতের তীব্রতা কমার অপেক্ষা করছেন। এ বছর রোপা আমন ধানের ভালো দাম না পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে আনন্দ উচ্ছ্বাস কম। তারপরও ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত উপেক্ষা করে কৃষকরা ইরি-বোরো ধানের চারা রোপনে ঝুঁকে পড়েছেন।
বানিয়াচং উপজেলার হাওরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, বীজতলা থেকে কৃষক চারা তুলে জমা করছেন। আবার কেউ পাওয়ার টিলার দিয়ে চষে জমি তৈরি করছেন। আবার কোথাও কোথাও কৃষকরা তাদের তৈরিকৃত জমিতে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, আগামী কিছু দিনের মধ্যেই কৃষকরা পুরোদমে জমিতে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ কাজ শুরু করবেন।
কৃষক আব্দুল মন্নান বলেন, এ বছর বানিয়াচং উপজেলার উত্তরের হাত্তরের মাঠে কৃষকরা প্রায় সব আবাদি জমিতে ইরি-বোরো চাষ করার জন্য হালচাষ দিয়ে জমি তৈরি করছেন। এখনও বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন ও রোপন তেমন শুরু হয়নি। আগাম ধান রোপণ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। শুরুর দিকে শ্রমিক সংকট থাকে না। ধানের রোগ বালাই কম থাকে। তাই তিনি প্রতি বছর আগাম ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ করে থাকেন বলেও জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ এনামুল হক বলেন, বানিয়াচং উপজেলা একটি হাওর বেষ্ঠিত উপজেলা। ঘন কুয়াশা ও শীত উপেক্ষা করে কৃষকরা ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন। আমরা কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সকল পরামর্শ কৃষকগণ অফিস এবং মাঠ পর্যায়ে উভয় জায়গা থেকেই পাচ্ছেন।