স্টাফ রিপোর্টার ॥ মজুদ করে রাখা পেঁয়াজ-রসুনের রশিদ দেখাতে না পারায় হবিগঞ্জ শহরে দুই আড়তদারকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ শহরের চাষি বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনমুন নাহার। অভিযানকালে মজুদ করে রাখা পেঁয়াজ-রসুনের রশিদ দেখাতে না পারায় চাষি বাজারে দুই আড়তদারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনমুন নাহার জানান, চাষি বাজারে একজন বড় আড়তদার ও একজন ছোট আড়তদারকে ভোক্তা অধিকার আইনে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন- চাষি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, একটি আড়তে বেশকিছু রসুন মজুদ করে রাখা। কিন্তু আড়তদারের কাছে কোনো রসিদ নেই। এজন্য তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইভাবে রসিদ ছাড়া পেঁয়াজ মজুদ করে রাখার অপরাধে অপর আড়তদারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছেন বলে জানান তিনি। এজন্য মজুতদারদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে বেলা ১টার দিকে হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দা সিনহার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে তিনি দেখতে পান পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ক্রেতারা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২৫ টাকা দরে কিনছেন। তবে একটি দোকানে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ওই ব্যবসায়ীকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দা সিনহা বলেন, আমাদের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। কেউ যদি এর ব্যতিক্রম করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।