ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ॥ শত বছর ধরে মাটির তৈরি প্রতিমা মূর্তি ছাড়া পূজা হয় জাতুকর্ণ পাড়ার বাদল ভট্টাচার্যের বাড়িতে
আক্তার হোসেন আলহাদী ॥ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সদরের জাতুকর্ণ পাড়ার বাদল ভট্টাচার্যের বাড়িতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে, শত বছর ধরে মুর্তি ছাড়া ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে পালন করা হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
সারা দেশে উৎসবমূখর পরিবেশে চলছে দুর্গোৎসব। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, দুঃখ-কষ্ট, বাধা-বিঘœ, ভয়, জ্বালা, যন্ত্রণা এসব থেকে ভক্তকে রক্ষা করেন দেবী দুর্গা। দুর্গাদেবী দুঃখ দিয়ে মানুষের সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করেন। তখন মানুষ অস্থির না হয়ে তাঁকে ডাকলেই তিনি তার কষ্ট দূর করেন। সারাদেশে এখন বইছে উৎসবের আমেজ, ঢাক-ঢোল কাঁসা এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত বিভিন্ন মন্ডপ। প্রতিমা বিসর্জন ও শান্তিজল গ্রহনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে পাঁচদিনব্যাপি এ উৎসব।
হিন্দু সম্প্রদায়সহ দেশের সকল নাগরিককে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে বাদল ভট্টাচার্যের ভাতিজা সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, দুর্গা প্রসন্ন ভট্টাচার্য আমার দাদু, উনার বাবা হচ্ছে তারাকান্ত ভট্টাচার্য এবং উনার বাবা কালিকান্ত ভট্টাচার্য মানে আমার দাদুর দাদু, আমি ছোট বেলায় আমার প্রয়াত দাদু দুর্গা প্রসন্ন ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করেছিলাম যে আমাদের প্রতিমা পূজা হয় না কেনো। উনি বলেছিলেন যে পূজা চলাকালিন সময়ে কোনো একটা সমস্যার কারণে উনার দাদু কালিকান্ত ভট্টাচার্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন মাটির প্রতিমা ছাড়া যেনো আমাদের বাড়িতে পূজা পালন করা হয়। সেই থেকে আজ শত বছর হয়ে গেলো আমাদের বাড়িতে মাটির তৈরি মূর্তি দিয়ে প্রতিমা পূজা হয় না।
খোকন ভট্টাচার্য বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি তারা মূর্তিপূজা করেন না, কাটাম পূজা করেন। শুনেছি কোনো এক সমস্যার কারণে তারা মূর্তি পূজা বন্ধ করে মূর্তি ছাড়াই পূজা করেন। এ সময় রাজ কুমার সূত্রধর, সুশীল সূত্রধর ও মাধব শীল সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বানিয়াচং উপজেলায় এবার ১২৪টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।