শারদীয় দুর্গাপূজার আজ মহানবমী
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধর্মীয় রীতিনীতি ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে হবিগঞ্জ শহরের রামকৃষ্ণ মিশন ও সেবাশ্রমে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীর দিন প্রতি বছর ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশু-কিশোরীকে দেবীরূপে পূজা করা হয়। গতকাল হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনে দেবী দুর্গা রূপে কুমারী হিসেবে পুজিত হন আকৃতি চক্রবর্তী (৭)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাহবাজপুরের বিপ্লব চক্রবর্তীর মেয়ে। পূজার পূর্বে কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। হাতে দেয়া হয় ফুল, কপালে সিঁদুরের তিলক এবং পায়ে আলতা। ঠিক সময়ে সুসজ্জিত আসনে বসিয়ে পূজা করা হয় কুমারী মাকে। চারদিক মুখরিত হয় শঙ্খ, উলুধ্বনি আর মায়ের স্তব-স্তুতিতে। কুমারী মাতা আকৃতি শাস্ত্রীয় নামে আবির্ভুত হন। মায়ের দর্শনের জন্য জেলা ও জেলার বাইর থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী ও ভক্তের সমাগম হয় রামকৃষ্ণ মিশনে। একই স্থানে বিকেলে সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমের অধ্যক্ষ বলেন, কুমারী পূজা হচ্ছে প্রত্যেক মায়েদের মাতৃভাবে পূজা করার একটি পদ্ধতি। আমাদের নিজেদের মধ্যে কাম, ক্রোধ, লোভ, মাধুর্য্য এসব ঘনিভূত হয়ে অসুরের পরাজয় হয়ে যারা শুদ্ধ শান্তির প্রতীক মা তাদের রক্ষা করবেন এটিই আমাদের প্রার্থনা।
কুমারী পূজা ছাড়াও গতকাল ছিল শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমী। আজ মহানবমী। হিন্দু ধর্মাবলম্বী অনেকের বিশ্বাস, মহানবমীর দিন হচ্ছে দেবী দুর্গাকে প্রাণভরে দেখে নেওয়ার ক্ষণ। অগ্নি সব দেবতার যজ্ঞভাগ বহন করে যথাস্থানে পৌঁছে দিয়ে থাকেন। এদিনই দুর্গাপূজার অন্তিম দিন। পরের দিন কেবল বিজয়া ও বিসর্জনের পর্ব। নবমী নিশীথে উৎসবের রাত শেষ হয়। নবমী রাত তাই বিদায়ের অমোঘ পরোয়ানা নিয়ে হাজির হয়। এসব বিবেচনা করে অনেকেই মনে করেন, নবমীর দিন আধ্যাত্মিকতার চেয়েও অনেক বেশি লোকায়ত ভাবনায় ভাবিত থাকে মন। আজ সকালে বিহিত পূজার মাধ্যমে মহানবমী পূজা ও কাল মঙ্গলবার সকালে দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।