স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৩নং তেঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি উত্তম রায়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা এক নারী। শনিবার তিনি এ অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের লোকেশ রায়ের স্ত্রী রুমা রানী রায় উল্লেখ করেন- লোকেশ রায় গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে উত্তম রায়ের বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে উত্তম রায় গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে তার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লোকেশ রায়ের বাড়িতে যান। এ সময় বাড়িতে কোন পুরুষ লোক না থাকায় উত্তম রায় গালিগালাজ করতে থাকেন। রুমা রানী রায় এর প্রতিবাদ করলে উত্তম রায় উত্তেজিত হয়ে তার লোকজন নিয়ে রুমার ঘরে প্রবেশ করে তার উপর হামলা চালান এবং শ্লীলতাহানি করেন। এক পর্যায়ে রুমা শোর চিৎকার শুরু করলে উত্তম রায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে আহত অবস্থায় রুমা রানী রায়কে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এ ব্যাপারে রুমা রানী বাদি হয়ে উত্তম রায়সহ ৪ জনকে আসামী করে গত বুধবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কগ-১) আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- রামপুর গ্রামের সুকুমার রায়ের ছেলে সুজিত রায়, সুনিল রায়ের ছেলে সুকেশ রায় ও প্রয়াত সীতেশ রায়ের ছেলে সাজু রায়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে আদালতে এমসি দাখিল করতে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের আরএমওকে নির্দেশ দেন। এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকেই মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য উত্তম রায়সহ তার সহযোগিরা রুমা রানী রায়কে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এতে রুমা রানী রায়সহ তার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি কামনা করেন রুমা রানী রায়।