সুমন আহমেদ বিজয় ॥ লাখাইর সাব রেজিস্ট্রার মোঃ মিনহাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও উৎকোচের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী। গত ২৮ আগস্ট জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন লাখাই উপজেলার মোড়াকরি গ্রামের মোঃ আজমান মিয়া। জেলা সাব রেজিস্ট্রার ও লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগের অনুলিপি প্রদান করেন অভিযোগকারী আজমান মিয়া।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী একজন কিডনি ও ডায়াবেটিস রোগী এবং তার আপন ভাই মোঃ আরব আলী ডায়াবেটিস, প্রেসার ও যক্ষ্মা রোগী। তার চাচাত ভাই মোঃ জুরু মিয়া স্ট্রোক করে প্যারালাইসিস অবস্থায় মুখে কথা বলতে পারেন না। তবে তিনি আকার ইঙ্গিতে বুঝতে পারেন। তিনি বলেন আমরা ১০ জন অংশীদারী একই পরিবারের লোক। গত ২২/০৮/২৩ ইং তারিখে একখানা জমি যা ৩০ শতক আমন রকম ভূমি বিক্রি করে দলিল রেজিস্ট্রি করতে যাই। আমার চাচাতো ভাই সহ সকলে মিলে রেজিস্ট্রি করতে গেলে এর জন্য সাব রেজিস্ট্রার মোঃ মিনহাজ উদ্দিন দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য উৎকোচ দাবী করেন। দলিলটি রেজিস্ট্রি করার অনুমতি না দিয়ে বরং বাতিল করে দেন।
সাব রেজিস্ট্রার মোঃ মিনহাজ উদ্দিনের কাছে কেউ কোন কিছু মৌখিকভাবে বা লিখি ভাবে অভিযোগ দিলে তিনি কাগজ পত্রাদি সত্য- মিথ্যা যাচাই না করে তিনি দলিল রেজিস্ট্রি করার অনুমতি না দিয়ে বাতিল করে দেন।
ভুক্তভোগী আজমান মিয়া দরখাস্তে আরও উল্লেখ করেন ২নং মোড়াকরি ইউনিয়নের জিরুন্ডা গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদ নামের একজন ভদ্রলোক মাথার সমস্যা থাকা স্বত্বেও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে দলিল রেজিস্ট্রি করার অনুমতি দিয়েছেন। মোড়াকরি গ্রামের আপন দুই ভাই ছোট্ট মিয়া ও ছবি মিয়া তাদের পারিবারিক ঝগড়ার কারণে ৬/৭ মাস বিলম্ব করে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে দলিল রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন।
অভিযোগকারী আজমান মিয়া আরও উল্লেখ করেন- অফিস খোলা অবস্থায় সাব রেজিস্ট্রার মোঃ মিনহাজ উদ্দিন তার খাস কামড়ার বাইরে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে রাখেন। ভিতরে প্রতিটি দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য ঘুষ লেনদেন করেন। এই খাস কামড়ায় তার লোক ছাড়া কেউ ঢুকতে পারেন না।
জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দরখাস্তকারী মোঃ আজমান মিয়া।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com