রিপোর্টে অতিরিক্ত দাম নিলে ব্যবস্থা ॥ সিভিল সার্জন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে শহরের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে অসংখ্য প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এদের অনেকটারই নেই টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান ও প্যাথলজিস্ট। তারপরও রোগীদেরকে দালালদের মাধ্যমে ধরে এনে পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভূয়া রিপোর্টের কারণে অনেকেই আতংকে থাকেন সবসময়। হবিগঞ্জে রিপোর্টে আসে কিডনি ও পাকস্থলিতে পাথরসহ বিভিন্ন জটিল রোগ, কিন্তু ঢাকা-সিলেট পরীক্ষা পর রোগী জানাতে পারে হবিগঞ্জের রিপোর্ট সঠিক নয়। এতে বিভ্রান্তিসহ অনেক অর্থের অপচয় হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। আবার অনেক ভুল রিপোর্টের কারণে অনেকে আরোগ্যের বদলে আক্রান্ত হচ্ছেন জটিল রোগে।
এ ছাড়া সরকারের নিয়মের চেয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মূল্য রাখা হচ্ছে কোন কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে। কারণ হলো, দালালদের কমিশন দিতে হয়। বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নজরে এলে গতকাল বুধবার বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুরুল হক। এমটি ল্যাব ও সঠিক কাগজপত্র না থাকায় শায়েস্তানগরের স্বাস্থ্যসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করা হয়। এ ছাড়া আরও ৮/১০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সতর্ক করা হয়।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুরুল হক জানান, বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও টেকনেশিয়ান নেই। অথচ হাসপাতালগুলো রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট প্রদান করছে। যা সঠিক নয়। এছাড়া হাসপাতালগুলোতে এমবিবিএস ডাক্তারের ফি অতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরো জানান, যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে তারা যদি সতর্ক না হয় তা হলে শিগগিরই জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে বৃহৎ পরিসরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। অভিযান নিয়মিত চলবে।