নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ধলিয়াছড়া থেকে সিলিকা বালু উত্তোলন কার্যক্রম স্থগিত করেছে উচ্চ আদালত। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। একটি পক্ষ খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কিছু কাগজের অজুহাত দেখিয়ে সর্বোচ্চ করদাতা নিলামের তোয়াক্কা না করেই দেদারছে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। ফলে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলিকা বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া শারমিন ফাতেমা বলেন, যতটুকু জানি এটি খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। এটি স্থানীয় প্রশাসন ইজারা দেয়নি। বিষয়টি দেখবে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এর আগে ইজারা বাতিল চেয়ে সর্বোচ্চ ইজারাদার হাইকোর্টে এক রিট পিটিশন করেন জনৈক ব্যক্তি। গত ৬ আগস্ট ধলিয়াছড়া সিলিকাবালু মহালের জনৈক সালেক মিয়া গং এর ইজারা আদেশটি স্থগিত করে রুলনিশি জারি করেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে মোঃ সালেক মিয়া সিভিল পিটিশন ফর লীভ টু আপিল করেন। যার নং- ২৪১০/২০২৩। পরে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। চেম্বার কোর্ট কোন নির্দেশনা দেননি। বরং ঘড় ঙৎফবৎ দেন এবং হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন। গত ২২ আগস্ট মোঃ সালেক মিয়া গং হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টের স্থগিতাদেশ অমান্য করে মেশিন স্থাপন করে এবং বালু উত্তোলনের যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদন করে গত ২৩ আগস্ট ভোর রাত থেকে বালু উত্তোলন শুরু করেন বলে সর্বোচ্চ ইজারাদার জানান। এ বিষয়ে ২৩ আগস্ট হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট এর স্থগিতাদেশের বিপক্ষে মোঃ সালেক মিয়া গংদের অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন করা হয়েছে।