হবিগঞ্জে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ বিএনপির তিন নেতা সিলেটে
এসএম সুরুজ আলী ॥ হবিগঞ্জে গত শনিবার বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ বিএনপির ৩ নেতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন আইসিইউতে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। অপরদিকে গুরুতর আহত সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষ নিয়ে বিএনপি ও পুলিশ একে অপরকে দোষারোপ করছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ¦ জি কে গউছ জানান, এটি পরিকল্পিত একটি হামলা। পুলিশ শুরু থেকেই উস্কানি দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ মিছিলের শেষে তারা হঠাৎ আক্রমণ চালায়। তিনি বলেন, আমাদেরকে মেরেছে। নেতাকর্মীদের গুলি করে আহত করেছে। আমার বাসায় গুলি করেছে। এখন আবার আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা দিচ্ছে। এসব মিথ্যা মামলা দিয়ে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। হামলা করে আন্দোলন থামানো যাবে না। তিনি বলেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আওয়াল ও যুবদল নেতা নূর উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে সিলেটে আইসিইউতে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। আরেক যুবদল নেতা আমিন শাহ’র অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান জানান, বিএনপি শুরুতে শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করছিল। কিন্তু হঠাৎই তারা মারমুখি হয়ে উঠে। মূলত তাদের উদ্দেশ্য ছিল থানায় আক্রমণ করা। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তারা সন্ত্রাসী এনেছে। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে সহনশীল ছিলাম। প্রথমে কিন্তু আমরা পিছু হটেছি। কিন্তু তারা একের পর এক আক্রমণ করে চলেছিল। কোন উপায় না পেয়ে আমরা কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছি। পরিস্থিতি শান্ত করতে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। সংঘর্ষে আমাদের অন্তত ৪০ জন পুলিশ আহত হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোববার ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি পদযাত্রা করে। কর্মসূচিতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। কর্মসূচি শেষে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আওয়াল, যুবদল নেতা আমিন শাহ, নূর উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা সৈয়দ আশরাফ আহমেদ, মনিরুজ্জামান, অলিউর রহমান অলি, সাইফুল রহমান বাবু, সাবের আহমেদ ও অনিক হাসান। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।