এসএম সুরুজ আলী ॥ আগামী ২৮ ডিসেম্বর শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা উঠান বৈঠকসহ অব্যাহত প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীদের প্রচারণা না করার নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা না নেমে ও আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে কোন কোন প্রার্থী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে মেয়র প্রার্থী সারোয়ার আলম শাকিল নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেছেন।
নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদেরকে নিজেদের আয়-ব্যয় সম্পদের বিবরণ ও শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিস্তারিত তথ্য নির্বাচন কমিশনে দাখিল করতে হয়েছে। প্রত্যেক প্রার্থী নোটারী পাবলিকে হলফনামার মাধ্যমে নিজেদের যেসব তথ্য নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছেন তা দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকার পাঠকদের উদ্দেশ্যে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। গতকাল তুলে ধরা হয়েছিল স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শায়েস্তাগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম শিবলু ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ছাত্রলীগ নেতা ইমদাদুল ইসলাম শীতল এর হলফনামার তথ্য। আজ তুলে ধরা হচ্ছে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোঃ সারোয়ার আলম শাকিল এর হলফনামার তথ্য।
মোঃ সারোয়ার আলম শাকিল শায়েস্তাগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী। তিনি শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার দাউদনগর দক্ষিণাংশ এলাকার বাসিন্দা এম. এ. মুক্তাদির ও রওশন আরার ছেলে। হলফনামায় তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসএস (সম্মান) সরকার ও রাজনীতি উল্লেখ করেছেন। তাঁর নামে বর্তমান ও অতীতে কোন মামলা নেই। তাঁর বার্ষিক আয় ৩০ লাখ ২৮ হাজার ৩৫ টাকা। এ হিসেবে তাঁর মাসিক আয় ২ লাখ ৫২ হাজার ৩৩৬ টাকা। আয়ের মধ্যে কৃষিখাত থেকে বছরে ৩ হাজার ৯২০ টাকা, বাড়ি/এপার্টমেন্ট/ দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ ৪ লাখ ৮ হাজার ৪৮৯ টাকা, ব্যবসা থেকে ২৫ লাখ ৫৫ হাজার ৬২৬ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে ৬০ হাজার টাকা বার্ষিক আয় হয়। তার নিজ নামে কৃষি জমি রয়েছে ৩০.৬৩ শতক, অকৃষি জমি ৫.৫৬শতক, দালান, আবাসিক/বাণিজ্যিক ১টি। পরিবারে তার নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় হচ্ছে ৭ লাখ ৯৮ হাজার ২৮৮ টাকা। তার কাছে নগদ রয়েছে ২ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া তার প্রাইভেট জীপ ১টি, মোটর সাইকেল ১০টি, ১৫ ভরি স্বর্ণলংকার রয়েছে। ইলেট্রনিক সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে মোবাইল ২টি, ১টি টিভি, এসি ১টি, ফ্রিজ ১টি, আলমিরা ১টি, সোফা সেট, ডাইনিং টেবিল ১ সেট, চেয়ার ১০টি।
যৌথ মালিকানায় তার ১৬.৩৭ শতক অকৃষি জমি, অকৃষি ৫৬ শতক, দালান ৪টি, সেমিপাকা ৪টি দালান রয়েছে। যৌথ মালিকানায় এক চতুর্থাংশের মালিক তিনি।
এছাড়া তার স্ত্রীর রয়েছে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার, ২টি মোবাইল ফোন ও ১০ শতক কৃষি জমি।
সারোয়ার আলম শাকিলের ব্যাংক ঋণ রয়েছে ৬ কোটি ৮৮ লাখ ৬হাজার ২২৯ টাকা। এর মধ্যে পূবালী ব্যাংক লিঃ শায়েস্তাগঞ্জ শাখায় ৩ কোটি টাকা সিসি লোন, ব্র্যাক ব্যাংক লিঃ হবিগঞ্জ শাখায় ৩ কোটি টাকা সিসি লোন, ব্র্যাক ব্যাংক লিঃ হবিগঞ্জ শাখায় এসএমই ঋণ ৪৬ লাখ ৭৬ হাজার ২০৩ টাকা, ব্র্যাক লিঃ হবিগঞ্জ শাখায় ব্যক্তিগত ঋণ ২ লাখ ৯ হাজার ২৪০ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংক লিঃ হবিগঞ্জ শাখায় গাড়ি ক্রয় ঋণ ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৭২৪ টাকা, সিটি ব্যাংক লিঃ হবিগঞ্জ শাখায় ৯ লাখ ২১ হাজার ১৩২ টাকা ব্যক্তিগত ঋণ। এছাড়া ৬টি ক্রেডিট কার্ডে মোট ২৫ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। পরিবারের নির্ভরশীল ব্যক্তিদের ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ২৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক লিঃ হবিগঞ্জ শাখায় এসএমই ঋণ ২৪ লাখ ৫৮ হাজার ২৪৮ টাকা ও ২টি ক্রেডিট কার্ডে ৩লাখ টাকা ঋণ।
মোঃ সারোয়ার আলমের এসব তথ্য শনাক্তকারী আইনজীবী হলেন অ্যাডভোকেট মোঃ নূরুল আমিন শোয়েব।