এফ আর হারিছ, বাহুবল থেকে ॥ বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নে এবার প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমিতে আগাম শিমের চাষ করা হয়েছে। তবে অতিবর্ষনের পাশাপাশি গরম আবহাওয়ার কারণে গাছে ফুল ও শিম ধরলেও তা পচে যাচ্ছে। সাথে যোগ হয়েছে পোকা ও পাতামরা রোগ। এসব দূর করতে অনেক ধরনের ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছে না। তবে শিমের ফলন কম হলেও বাজারে চাহিদা ও দাম ভাল থাকায় লাভের আশা করছেন চাষীরা। বর্তমান বাজারে ১৩০/১৪০ টাকা কেজিতে শিম বিক্রি করতে পারছেন চাষীরা। কয়েকজন শিম চাষী জানান- ‘পচে যাওয়া ও পোকা ধরা রোধে অনেক ধরনের কীটনাশক দেয়া হচ্ছে। তারপরও ফুল পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারি কোনো কৃষি কর্মকর্তার দেখা তারা আজও পাননি।
তারা আরও জানান- ধানের দাম কম থাকায় ধান চাষ বাদ দিয়ে ধানের জমিতে তারা শিম চাষ করেছেন। প্রতি বছর লাভবান হলেও এবার তারা ধরা খেয়ে গেছেন।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে শিম চাষে খরচ হয় ৪০/৫০ হাজার টাকা। আবার ভাল ফলন হলে বিক্রি করা যায় বিঘা প্রতি ৯০ থেকে ১ লাখ টাকা। গত বছরগুলোতে বিঘা প্রতি ৮০/৯০ হাজার থেকে লাখ টাকার শিম বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে। কিন্ত এ বছর একেবারেই মাঠেমরা।
ইউনিয়নের ভবানীপুর, লামাপুটিজুরী, রাজ সূরত ও হাজী মাদাম গ্রামের শিম চাষিরা জানান- এক বিঘা জমিতে ৪০/৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এবার যে ফলন আসছে তাতে আমাদের কিছুই থাকবে না, বরং ঋণের বোঝায় মাথা ভারী হয়ে আসছে। তবে শিমের ফলন কম হলেও বাজারে চাহিদা ও দাম ভাল থাকায় কিছুটা লাভের আশা করছেন তারা।