মোহাম্মদ শাহ আলম ॥ বাসের হেলপার হিসেবে অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকেই রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের চালক বনে যাওয়া দুই যুবককে আটক করে সাজা দিয়েছেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। দন্ডপ্রাপ্ত দুই যুবক হলো- হবিগঞ্জ শহরের অনন্তপুর এলাকার ফজর মিয়ার ছেলে ফয়সল মিয়া (২০) এবং বানিয়াচং উপজেলার বলাকিপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সৈয়দ আহাম্মদ পথিক।
সূত্র জানায়, গতকাল সকালে দুই যুবক হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের গেটের ভিতরে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছিল। এসময় তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের গাড়ি চালানোর বৈধ কোন কাগজপত্র নেই।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান নিজে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন। পরে আটককৃত দুজনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৫ দিন করে কারাদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মো. জহিরুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অধিকাংশ অ্যাম্বুলেন্স চালকই অদক্ষ। তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ কোন ধরনের কাগজপত্র নেই। যার ফলে আশঙ্কাজনক রোগী নিয়ে ঢাকা অথবা সিলেট যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে তারা। পাশাপাশি হাসপাতাল ফটকের সামনে অ্যাম্বুলেন্স রেখে হাসপাতালে আগত রোগীদের চলাচলে প্রতিবন্ধতকা সৃষ্টি করে এসব চালক।
এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক ভাড়ার তুলনায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগও রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, এসব কারণে অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগেও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে অভিযান চালান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। এ সময় বেশ কয়েকজন দালালকে আটক করে জেল-জরিমানা প্রদান করেন।