চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে এক প্রবাসীকে মাদক মামলায় পলাতক আসামী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি এলাকায় আলোচনার ঝড় তুলেছে।
পুলিশ জানায়, গত ১ অক্টোবর রাতে সাতছড়ি সীমান্ত ফাঁড়ির ৫৫ ব্যাটালিয়ানের একদল জোয়ান সাতছড়ির সেগুন বাগান নামক স্থান থেকে কিছু মাদকসহ চুনারুঘাট পৌর এলাকার আব্দুল কাইয়ুম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। এ ব্যাপারে সাতছড়ি বিওপি’র সুবেদার বাদি হয়ে আটক ব্যক্তিসহ ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের বগাডুবি গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে প্রবাসী শামীম আহম্মদকে পলাতক আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শামীম আহম্মদ এর মামা সাবেক ইউপি সদস্য সালু তালুকদার বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বর রাত প্রায় দেড়টার সময় চিমটিবিল ও গুইবিল সীমান্ত ফাঁড়ির একদল বিজিবি জওয়ান এলাকার মেম্বার সোহেলকে সাথে নিয়ে আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের বগাডুবি গ্রামের শামীম আহম্মদের বাড়িতে মাদকদ্রব্য মজুদ আছে মর্মে অভিযান পরিচালনা করে। যদিও সেই অভিযানে শামীমের বাড়ি থেকে অবৈধ কোন মালামাল উদ্ধার হয়নি। সালু মেম্বার বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার ভাগিনা শামীম সদস্য পদপ্রার্থী। বর্তমান মেম্বার সোহেল চৌধুরীর প্ররোচনায় বিজিবি শামীমের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে এবং সাতছড়ির মাদক মামলায় পলাতক আসামী হিসেবে শামীমের নাম অন্তর্ভুক্ত করে। মামলার সাক্ষী হিসেবে মেম্বার সোহেল চৌধুরী ও তার ভাই সাব্বির মিয়াকে দেখানো হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, ইউপি সদস্য সোহেল চৌধুরী ও প্রবাসী শামীমের মাঝে দীর্ঘদিন থেকে মত বিরোধ চলে আসছে। শামীমের বিরুদ্ধে গত ২৪ সেপ্টেম্বর থানায় মামলাও করেছেন সোহেল চৌধুরী।
এ ব্যাপারে আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সনজু চৌধুরী বলেন, ইউপি সদস্য সোহেল এবং শামীমের মাঝে সৃষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে।