স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের সুদখোর আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বারাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গত সোমবার তেঘরিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দপুর, রামপুরের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উমেদনগর, রামপুর, আউড়া, মজলিপুর, রামনগর, টঙ্গিরঘাট, শিকারপুর, গোবিন্দপুর, পূর্ব অনন্তপুর এলাকার লোকজনের নিকট থেকে চড়া সুদের ব্যবসা করে আসছে। যার ফলে এলাকার অনেক নিরীহ পরিবার পালিয়ে জীবন যাপন করছে এবং টাকা প্রদানকালে কৌশলে হিসাবে সুদখোর মতিন মিয়া এবং তার ছেলেরা ভুক্তভোগীর স্বাক্ষরযুক্ত ব্ল্যাংক চেক নিয়ে আসে এবং কোন কোন লোকের নিকট হতে বাড়ি-ঘর এবং জমিজমার কাগজপত্র নিয়ে থাকে। এভাবে সুদের ব্যবসা পরিচালনাকালীন সময়ে অনেক লোক টাকা চড়া সুদে টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের নামে তাদের নিকট হতে স্বাক্ষরযুক্ত ব্ল্যাংক চেকে টাকার হিসাব বসিয়ে আদালতে মামলা করার ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। আবার অনেকে টাকা দিতে না পারলে জমি-জমা বাড়ি-ঘরের ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে হুমকি দিয়ে থাকে এমনকি টাকা দিতে না পারায় অনেক লোকের কাছ থেকে হালের বলদ, গরু-বাছুর ছিনিয়ে নিয়ে যায়। উক্ত সুদ গ্রহণের ফলে টাকা ফেরত দিতে না পারায় এলাকার অনেক পরিবারই দেশান্তর। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় সুদখোর আব্দুল মতিন সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয়রা জানান চড়া সুদে কেউ টাকা পরিশোধ না করতে পারলে আব্দুল মতিন ও তার পুত্রসহ লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ভুক্তভোগীদের নির্যাতন করার অভিযোগও রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার ও হবিগঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রতিকার পাবার আশায় ভুক্তভোগীর পক্ষে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ আব্দুল মতিন ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।