স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের সবচেয়ে নিরাপদ যাতায়াতের বাহন রেলপথ। তবে করোনা ভাইরাস আতংকে রেলসেবার অ্যাপ ব্যবহার করে অনেক যাত্রী নির্ধারিত শিডিউলের বাইরে টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। কিন্তু গত ঈদের মতো এবারও আগাম টিকিট বিক্রির অ্যাপের সার্ভার ডাউন থাকায় বেশ ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রীরা।
ভুক্তভোগিরা জানান, ‘এবারের মত অবস্থা থাকলে মানুষ অনলাইনে টিকিট কেনার আগ্রহই হারিয়ে ফেলবে। টিকিট প্রত্যাশী ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে গতকাল শুক্রবার কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকেই রেলের অ্যাপ ‘রেলসেবা’ কাজ করেনি। তাছাড়া ঈদে ট্রেনের টিকিট বিক্রির একদিন আগেই অ্যাপে প্রবেশ করা যায়নি।
আড়াই মাস পর একই চিত্র ঈদুল আজহার টিকিট বিক্রিতেও। বিক্রি শুরুর আগের দিনেই অ্যাপে লগইন সমস্যা ও ওয়েবসাইটে সার্ভার ডাউন দেখানো শুরু করেছে। গতবার অ্যাপ নিয়ে অভিযোগ আসার পরিপ্রেক্ষিতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন রেলসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে ট্রেনের টিকিট শতভাগ অনলাইনে কাটা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বিশেষ করে টিকেটের মূল্যের চেয়ে দ্বিগুন বেশি নেয়া হচ্ছে। ২১৫ টাকার টিকেটে নেয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে তা ৮০০/৯০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। সকাল ৬টায় রেলসেবা অ্যাপস থেকে টিকিট কাটতে হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাড়া কেউ টিকেট কাটতে পারে না। এই সুযোগে কম্পিউটারের দোকানীরা টিকিট কেটে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে। আবার অনেক যাত্রীই টিকেট ছাড়া ভ্রমণ করে থাকেন।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার বলেন- ‘এখন আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের কাউন্টারে কোন টিকিট বিক্রি হয় না। মানুষ ঘরে বসেই ট্রেনের টিকিট কাটেন।’
তিনি জানান, সব জায়গাই রেলওয়ে স্টেশন এর পাশেই কম্পিউটারের দোকান খুলে বসে আছেন। তারাই এখন ব্ল্যাকার। তারা টিকিটের দাম বেশি নিলে আমাদের কিচ্ছু করার নেই। অনলাইনে টিকিট কেনার ভোগান্তির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত সকালেই সার্ভার কিছু সমস্যা করে। কারণ এই সময় হাজার হাজার মানুষ একসাথে অ্যাপস-এ ঢুকার চেষ্টা করেন। বেলা বাড়ার পর সার্ভার সমস্যা করে না। তিনি আরো জানান, রেলওয়ের নিজস্ব সার্ভার দেয়ার জন্য আলাপ-আলোচনা চলছে। নিজস্ব সার্ভার হলে এরকমটি আর হবে না।