অপ্রাপ্ত বয়স্ক বর-কনের অভিভাবকদেরকে অর্থদন্ড করেছেন ইউএনও
স্বপন বণিক ॥ আজমিরীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে নদী আক্তার (১৬) নামের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী।
সূত্র জানায়, ৭ আগস্ট শুক্রবার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কাকাইলছেও ইউনিয়নের গরদাইর বাড়ি হাটী গ্রামের মুর্শেদ মিয়ার পুত্র সৌলরী এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র তারেক মিয়ার (১৮) সাথে একই গ্রামের সগলু মিয়ার কন্যা সৌলরী এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী নদী আক্তারের (১৬) বিয়ের আয়োজন করে উভয়ের পরিবার। বিয়ের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমান খাঁন জানার পর শুক্রবার সকাল ১১টায় সরজমিনে গিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেন। সেই সাথে তিনি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুসারে নদী আক্তারের পিতা সগলু মিয়া (৫০) এবং তারেক মিয়ার পিতা মুর্শেদ মিয়াকে (৪৮) ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন।
এসময় ছেলে-মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে উভয় অভিভাবকের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা রাখেন ইউএনও।
অভিযান পরিচালনাকালে আজমিরীগঞ্জ থানার এসআই এমরানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমান খাঁন বলেন- বাল্য বিবাহ রোধে উপজেলার সর্বত্র এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।