স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে তালিকায় অন্তর্ভূক্তির পরও বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতা না পাওয়ায় ইউপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বঞ্চিতরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা শিবপাশা ইউপি অফিসে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। অবিলম্বে ভাতার টাকা না দিলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দেন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ভাতা দেয়ার আশ^াস দিলে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
আজমিরীগঞ্জের শিবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আলী আমজাদ তালুকদার জানান, দীর্ঘ যাচাই বাছাই শেষে ইউনিয়নের প্রকৃত ১শ ১১ জন ভাতা ভোগীর কার্ড দেয়ার জন্য গত ১ জুন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে তালিকা জমা দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকে ৬ হাজার টাকা করে ভাতা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বয়স্ক, পঙ্গু, বিধবা, প্রতিবন্ধি ভাতা কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান ইউনিয়নের ভাতাভোগী কার্ড আটক করে রেখেছেন। যে কারণে তারা যথাসময়ে ভাতার টাকা পাচ্ছেন না। ফলে ভাতাভোগীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গত ঈদুল আযহার পূর্বে ভাতাভোগীদের কার্ড পাইয়ে দিতে অনেক চেষ্টা করলেও উপজেলা চেয়ারম্যানের অসহযোগিতার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, প্রথমত এখনও প্রতিবন্ধি ৩ জনের কাগজপত্র আসেনি। আর দ্বিতীয়ত হলো ভাতা কমিটির উপজেলা সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান। তিনি এখনও তালিকাটি অনুমোদন দেননি। ফলে ভাতা দেয়া যাচ্ছে না। তিনি অনুমোদন দিলেই সাথে সাথে সেটি দেয়া সম্ভব। সমাজসেবা কর্মকর্তা বলেন, এখানে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে রাজনৈতিক মনোমালিন্য রয়েছে। এডিবি এবং ত্রাণ বিতরণ নিয়ে এটি হয়েছে। এর কারণেই মূলত এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মর্তুজা হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখানে যে ওয়ার্ডে লোক সংখ্যা বেশি সেখানে বেশি, আবার যেখানে লোক সংখ্যা কম সেখানে কম হারে কার্ড পাওয়ার নিয়ম। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান আলী আমজাদ তালুকদার স্বজনপ্রীতি করে নাম দিয়েছেন। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। তিনি বলেন, আমি বলেছি ২/৩টি কমবেশী হতে পারে। তাকে তালিকা ঠিক করে দিতে বলা হয়েছে। তালিকা ঠিক করে দিলে সাথে সাথে তা অনুমোদন দেয়া হবে।