রাকিবের জোড়া গোলে সেক্রেটারি দল বিজয়ী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার সুটকি ব্যবসায়ী সমিতির প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাইপাস সংলগ্ন আনোয়ারপুর মাঠে গত শনিবার সকালে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শুরুর ২৫ মিনিটের মাথায় কবির মিয়ার দুর্দান্ত গোলে ১-০ তে এগিয়ে যায় সভাপতি দল। কর্দমাক্ত মাঠে খেলোয়াড়রা বল নিয়ে একে অপরের উপর আঁচড়ে পড়তে থাকেন। সাথে চলতে থাকে মনমাতানো মিউজিক সিস্টেম। মিউজিকের তালে খেলোয়াড়দের মাতিয়ে রাখেন মিউজিক সিস্টেম অপারেটর ও ধারাভাষ্যকার সাইফুল ইসলাম। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে রাকিবের গোলে খেলায় সমতা ফিরে আসে। ১-১ গোলে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
কর্দমাক্ত মাঠে খেলাটি ছিল সত্যিই উপভোগ করার মতো। দেশের এই করোনা মহামারিকে ভুলে মাঠের চতুর্দিকে দর্শকরা যেন নতুন প্রাণ ফিরে পাচ্ছিলেন। গানের তালে ও বিপুল দর্শকের হৈ-হুল্লোড়ে খেলা আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠছিল। দ্বিতীয়ার্ধে কোন দলই তেমন অবস্থা তৈরি করতে পারছিলেন না। খেলায় ব্যবধান তৈরি করতে দুই দলই মরিয়া হয়ে উঠছিলেন। এরই মধ্যে আবারো গোল দেয়ার সুযোগ পেয়ে যান সেক্রেটারি দলের তুখোড় খেলোয়াড় রাকিব এবং গোল দিতে তিনি কোন ধরনের ভুল করেননি। কাঁদাযুক্ত মাঠে খেলোয়াড়রা বার বার একে অপরের উপরে পড়ে যাচ্ছিলেন। এরই মাঝে খেলার শেষ বাঁশি বাজালেন রেফারি মঞ্জিল মিয়া। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আর কোন গোল না হওয়ায় ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় পায় সভাপতি সেক্রেটারি দল।
সভাপতি দলের খেলোয়াড়রা হলেন- কবির মিয়া, মনসুর মিয়া, আবুল কালাম, ছাওয়াল মিয়া, বুরহান উদ্দিন, নয়ন মিয়া, মারুফ মিয়া, শুভ, মনীন্দ্র, কায়েদ, ইমরুল ও রিফাত। সেক্রেটারি দলের খেলোয়াড়রা হলেন- মোঃ ইয়াছিন মিয়া, আকাশ মিয়া, সাইফুল ইসলাম, দুলাল মিয়া, রাকিব, তানভীর, রাব্বি, ইউসুফ আলী, হান্নান মিয়া, সালাউদ্দিন, নূরুল আমীন ও লিটন মিয়া।
খেলায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের পরিচালক দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ-এর স্টাফ রিপোর্টার সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম, চৌধুরী বাজার সুটকি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল আহাদ, ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম প্রমূখ।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে হবিগঞ্জ চৌধুরী বাজার সুটকি ব্যবসায়ী সমিতি প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে থাকে। প্রতিটি ম্যাচ শেষে সমিতির পক্ষ থেকে চৌধুরী বাজার সুটকি হাটা সংলগ্ন গোডাউনে খাসি জবাই করে অতিথিসহ উভয় দলের খেলোয়াড়রা মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।