নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও। এছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরণে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের হতে সম্পূর্ণ নিষেধ করা দেয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা সফল করতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ, সেনাবাহীনি ও র‌্যাব সদস্যরা।
কিন্তু এরই মধ্যে নবীগঞ্জের ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে লঙ্কাকা- বাধিয়ে বসলেন গ্রাহকরা। একে অপরে ঠেলা ধাক্কাসহ ভিড় করেন সৃষ্টি করেন হট্টগোলও। করোনাভাইরাস সতর্কতায় শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকাতো দূরের কথা, মাস্কও দেখা যায়নি অনেকের মুখে। রবিবার সকাল ১০ টায় শহরের শেরপুর রোডে অবস্থিত ইসলামী ব্যাংকের সামনে গ্রাহকদের এমন অবস্থা দেখা যায়।
এদিকে, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। থেমে নেই মৃত্যের সংখ্যাও। এরই মধ্যে এমন কঠিন পরিস্থিতিতে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের গা ঘষে ঠেলাঠেলি ও ধাক্কাধাক্কির বিষয়টির ভিডিও ধারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক বিরাজ করে পৌরবাসী।
এ ঘটনায় নবীগঞ্জ পৌরসভার নাগরিকরা মনে করছেন, অসচেতনা পরিবেশ এভাবে চলমান থাকলে করোনার প্রভাব থেকে রেহাই পাবে না নবীগঞ্জ পৌরবাসীসহ উপজেলার মানুষ।
বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সাধারণ ছুটি শুরুর আগেই গ্রাহকরা প্রয়োজনীয় টাকা উত্তোলন করতে এসেছেন। যদিও ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়নি। সীমিত আকারে সরকারি ছুটির দিনগুলো ব্যতীত সাধারণ ছুটির দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন চলবে। ব্যাংক বন্ধ হবে ২টায়। সাধারণ ছুটির আগেই বেশিরভাগ গ্রাহক ২০ হাজার থেকে এক লাখের মধ্যে টাকা উত্তোলন করছেন।
নবীগঞ্জ শাখার ইসলামী ব্যাংক ম্যানাজার কায়সার আহমেদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ব্যাংকের অন্যান্য কর্মচারীরা সাংবাদিকদের ব্যাংক প্রবেশে বাঁধা দেন। এবং গ্রাহকদের গা ঘষে ঠেলা ধাক্কার বিষয়ে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন।