স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে একদিনে ১০ জনের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১ জন। এর মাঝে মহিলা ২ জন। সোমবার রাত ১০টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ থেকে আসা রিপোর্টে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, ১৭, ১৮ ও ১৯ এপ্রিল যাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছিল তাদের মাঝে ১০ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এর মাঝে ২২ থেকে ৩২ বছর বয়সী আছে ৭ জন। ৪৫ বছরের ১ জন, ৫৫ বছরের ১ জন ও ৬৪ বছরের ১ জন। জেলার বানিয়াচং ও লাখাই উপজেলার ৩ জন করে, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ২ জন এবং বাহুবল ও চুনারুঘাট উপজেলায় একজন করে রোগী।
হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জল জানান, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরত রোগীরাই আক্রান্ত বেশী। আক্রান্ত সবাই হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। আমরা সবাইকে সনাক্ত করেছি। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে আসা হবে। আমরা তাদেরকে স্ব স্ব উপজেলায় রাখতে আগ্রহী। তবে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি জানান- আক্রান্তদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী রয়েছেন।
এর মধ্যে লাখাই উপজেলায় ৩ জন- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সৈয়দ আদনান আরেফিন, পশ্চিম বামৈ গ্রামের বাসিন্দা নার্স নাজমিন নাহার বিউটি ও নারায়ণগঞ্জ ফেরত মহরমপুর গ্রামের বাবুল মিয়া। বানিয়াচং উপজেলায় ৩ জনের রক্তে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে তারা হলেন মহব্বত খানির আক্কাস মিয়া, বানেশ^র বিশ^াসের পাড়ার সুমন মিয়া ও মিরের মহল্লার উজ্জ্বল মিয়া। তারা তিনজনসহ মোট ১১ জন কুমিল্লা থেকে এসেছিলেন। রাতেই বানিয়াচং উপজেলার বানেশ্বর বিশ্বাসের পাড়া, মহব্বতখানী ও মিরের মহল্লা লকডাউন করা হয়েছে। বাহুবল উপজেলায় ১ জন- দৌলতপুর গ্রামের আব্দুস সোবানের পুত্র নারায়ণগঞ্জ ফেরত অলি মিয়া। বাহুবল উপজেলার দৌলতপুর, যশপাল ও শম্ভুপুর গ্রামকে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ২ জন করোনায় আক্রান্ত- সারথি রানী (৩৫) বদলপুর ও জালাল উদ্দিন (৫৫) মির্জাপুর বিরাট এবং চুনারুঘাট উপজেলার গোগাউড়া গ্রামের বাসিন্দা ঢাকা ফেরত আব্দুল মালেক (৬৪) করোনায় আক্রান্ত। তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
করোনা আক্রান্তদের সকলেই সম্প্রতি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও কুমিল্লা থেকে নিজ নিজ এলাকায় ফিরেছেন। তাদের প্রত্যেকের রিপোর্টই সিলেট করোনা সনাক্তকরণ ল্যাব থেকে এসেছে।
এদিকে, আক্রান্ত সকলেই বর্তমানে নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। ফলে এলাকার মধ্যে করোনা সংক্রামণের প্রবল ঝুঁকি থাকায় প্রত্যেকটি এলাকা লকডাউন করা হবে। পাশাপাশি লকডাউন কঠোর করতে ওই এলাকাগুলোতে ২৪ ঘন্টা পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলেও জানান হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন।
এর আগে ১১ এপ্রিল হবিগঞ্জে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়। সে নারায়ণগঞ্জ জেলার জেলার বাসিন্দা।