স্টাফ রিপোর্টার ॥ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জেলার চুনারুঘাটে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে এক আওয়ামী লীগ নেতা। সে উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের রতি বল্লবপুর গ্রামের মৃত আতাব উল্লার ছেলে। মাঈনুল্লা সদ্য গঠিত ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। রবিবার দুপুরে উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের গ্রামে রতি বল্লবপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত সুত্রে জানা জানায়, উপজেলার রতিবল্লব পুর গ্রামের নিরীহ মো: ছুরত আলীর পরিবারের সঙ্গে মাঈনুল্লা ও ইদ্রিছ উল্লার পরিবারের জমিজমা নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা ও দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে রবিবার দুপুরে ছুরত উল্লার স্ত্রী আনোয়ারা সাথে মামলা তুলে নেয়া নিয়ে মাঈনুল্লার সাথে বাকবিত-া হয়। এক পর্যায়ে মাঈনুল্লা ও তার ছেলে সজল ও উদ্রিছ মিয়ার ছেলে শিপন, রাজনসহ ৭/৮ জনের বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ছুরত উল্লার স্ত্রী আনোয়ারা(৬০) তার কলেজ পড়–য়া ছাত্রী পিংকী আক্তার(২৩) ও ছেলে কলেজ পড়–য়া হিরণ মিয়াকে কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদিকে গুরুতর আহত আনোয়ারা বেগম জানান, মঈনুল্লার ভাই ইদ্রিছ উল্লার সাথে জমিজমা নিয়ে হবিগঞ্জ কোর্টে মামলা রয়েছে। আনোয়রা বেগমের মারামারির ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত ইদ্রিছ মিয়া গংদের নামে পলাতক থাকায় ওয়ারেন্ট ইসু করেন। এর পর থেকে তারা ব্যপরোয়া হয়ে উঠেছে। ঘটনার পুর্বে মঈনুল্লা মামলা তুলে নিতে হুমকী দেন আনোয়ারাকে মামলা তুলে না নেয়ার জের ধরেই মঈনুল্লার নেতৃতে একদল লোকজন তার ছেলে, মেয়েকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে। এবিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক বনজ কুমার হালদার জানান পিংকীর মাতায় কুপ রয়েছে ও তার মা আনোয়ারার হাত ভাঙ্গা, তার হিরনের শরীরে জখম। তাদেরকে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখা হয়েছে। কলেজ ছাত্রী পিংকী জানান, এর আগেও কয়েকবার নির্যাতন করেছে মঈনুল্লা বাহিনী। তার পিতা একজন দিনমজুর অসহায়। মঈনুল্লা এলাকার প্রভাবশালী, সে সরকার দলের এক প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেহ কথাবলার সাহস পায়না। তাদের বিরুদ্ধে পুর্বে নির্যাতনের মামালা রয়েছে। উক্ত মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকী দিয়ে আসছে মঈনুল্লাসহ তার লোকজন। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট তাদের পরিবার। তাদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে কলেজ ছাত্রী পিংকী ও তার পরিবার প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্ততি চলছে। এবিষয়ে মঈনুল্লার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।