মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নে ও করগাঁও ইউনিয়নের পৃথক স্থানে স্কুলপড়–য়া ছাত্রীসহ দুই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার দুপুরে মুমুর্ষ অবস্থায় ধর্ষিতা কিশোরীকে পুলিশী নিরাপত্তায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জুয়েল মিয়া নামের এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নের কাজীরগাঁও গ্রামের আব্দুল মন্নাফ ওরফে মিছিল মিয়ার পুত্র ২ সন্তানের জনক জুয়েল মিয়া (২৬) এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল নবীগঞ্জ আদর্শ বিবিয়ানা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর। প্রেমের সূত্র ধরে গত ১৮ মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে ওই ছাত্রীকে বাড়ির বাহিরে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে জুয়েল। এদিকে ছাত্রীর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার এসআই আতিক আহমেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ জুয়েল মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষিতা ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অপরদিকে, একই উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের কুড়িশাইল গ্রামের সাইদ মিয়া (১৮) নামে এক যুবক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে প্রতিবেশী এক কিশোরী। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাইদ ওই গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার পুত্র। জানা যায়, প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে সাইদ ও ওই কিশোরীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। সাইদ প্রায়ই ওই কিশোরীকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে আমোদফুর্তিতে লিপ্ত হত। বিষয়টি কিশোরীর পরিবারের লোকজন আঁচ করতে পেরে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, কাজীরগাঁও গ্রামে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কুড়িশাইল গ্রামের ধর্ষণের মামলাটি তদন্তাধীন আছে।