রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং থেকে ॥ বানিয়াচং সাগরদিঘী পূর্বপাড়ের হায়দার শাহ মাজারে ওরসের নামে অশ্লীল নাচ গানের আসর বন্ধ করে দিয়েছেন বানিয়াচংয়ের আলেম সমাজ। গত শুক্রবার রাত সাড়ে এগারটায় মাওলানা মুনতাসির আলম সোহানের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান মাজার প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে আয়োজকদের এসব বন্ধ করতে বলেন। পরে আলেমদের বাধার মুখে গান বাজনা বন্ধ করতে বাধ্য হয় তারা। জানা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় উক্ত মাজার কমিটির সদস্যরা মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। কিন্তু এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার জন্য মাজার সংলগ্ন খালি জায়গায় ওরসের নামে অশ্লীল নাচ গান, মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল ক্রয়-বিক্রয়, জুয়া খেলা ও সুন্দরী রমনীদের এনে রাতভর গানের আয়োজন করে। সকল মাদক সেবীদের আখড়ায় পরিণত হয় এই মাজার। ওরসের দিন পবিত্র কালেমা নিয়ে উচ্চ স্বরে গান করতে থাকে ওরসে আসা শিল্পীরা। বিষয়টি এলাকায় আলেম সমাজের কানে পৌছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গান বন্ধ করার জন্য বানিয়াচং বড়বাজারে ৫ শতাধিক আলেম ওলামা একত্রিত হন। পরে সেখান থেকে মাওলানা মুনতাসির আলম সোহানের নেতৃত্বে এলাকার অনেক যুবকদের সাথে নিয়ে রাতেরই মাজার প্রাঙ্গণে এসে এসব গান বাজনা বন্ধ করতে বলেন। কোনো উপায় না পেয়ে মাজার কমিটির সদস্য ও গান বাজনা করতে আসা শিল্পীরা তাদের সরঞ্জামাদি গুটিয়ে ফেলেন। এ খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশের একটি দল মাজার প্রাঙ্গণে আসেন। কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা এড়াতে মাজার কমিটি তথা শিল্পীদের ব্যাঙ্গাত্বক গান বন্ধ করার আহবান জানান। মাজারে এই সব অশ্লীল গান বাজনা বন্ধ করার জন্য মাওলানা মুনতাসিরসহ সর্বস্তরের আলেম সমাজকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জন কুমার সামন্ত জানান, বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাৎক্ষনিক মাজারে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে অশ্লীল নাচ গান হয় সেটা তার জানা ছিল না বলে জানান ওসি।