স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হবিগঞ্জে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। শনিবার দুপুর ১২টায় শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ের সামন থেকে মিছিলটি বের করা হয়। বিএনপির জাতীয় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিযর যুগ্ম আহ্বায়ক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছের নেতৃত্বে মিছিলটি পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে জি কে গউছ বলেন- মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আর গণতন্ত্র হত্যা করে আওয়ামীলীগ একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষি, কোন স্বৈরশাসকই আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, আওয়ামীলীগও পারবে না। দমন-পিড়ন করে গণআন্দোলনকে বেশি দিন দমিয়ে রাখা যায় না। আওয়ামীলীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে।
জি কে গউছ বলেন- আওয়ামীলীগ সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রেখেছে। আওয়ামীলীগের ধারণা খালেদা জিয়া জেলে থাকলেই বিএনপি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের জানা নেই, বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রয়োজনে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবে, বুকের তাজা রক্ত রাজপথে ঢেলে দিবে, তবুও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন থেকে একটি কর্মীও রাজপথ ছাড়বে না।
জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন শাহীন, গোলাম মোস্তাফা রফিক, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, এম জি মোহিত, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম নুরুল ইসলাম নানু, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, গীরেন্দ্র চন্দ্র রায়, অ্যাডভোকেট রুখসানা জামান চৌধুরী, মহিবুল ইসলাম শাহীন, তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি মিয়া মোঃ ইলিয়াছ, সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবুল, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুদ্দত আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, জেলা জাসাসের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দা লাভলী সুলতানা, আমিনুর রশিদ আনসারী রতন, সোহেল এ চৌধুরী, আব্দুল খালেক, তুহিন খান, দেওয়ান মুহাইমিন চৌধুরী ফুয়াদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, সিনিয়র সহ সভাপতি জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম, জি কে ঝলক, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, হাসবী সাইদ চৌধুরী, আলমপনা চৌধুরী মাসুদ, আবু ছালেক, আশরাফুল আলম সবুজ, অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ, আব্দুল কুদ্দুস নুরী, শাহ ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি নেতা মোঃ আজম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান সানু ও কাজী শামছু মিয়া, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপি নেতা নাজমুল হোসেন বাচ্চু, মর্তুজা আহমেদ রিপন, মজিবুর রহমান মুজিব, আব্দুর রউফ, কামাল খান, লিটন আহমেদ, আনিসুজ্জামান জেবু, সজল খান, আবুল হোসেন, আক্কাস মিয়া, আব্দুল হাই, জয়নাল আবেদীন, মর্তুজ আলী সরদার, আলকাছ মিয়া, গাজী রিপন, রুহুল আমিন ও বকুল মিয়া, লাখাই উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আব্দাল, আব্দুল আওয়াল ভুইয়া, শেখ মোঃ ফরিদ, শামছুদ্দিন আহমেদ ও আক্তার আহাদ চৌধুরী স্বপন, বাহুবল উপজেলা বিএনপি নেতা জাহেদুল ইসলাম জিতু, আকদ্দস মিয়া বাবুল, হাজী শামছুল আলম, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা সরফরাজ চৌধুরী, মজিবুর রহমান সেফু, নবীগঞ্জ পৌর বিএনপি নেতা তৌহিদুল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন, চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপি নেতা জমরুত আলী, চুনারুঘাট পৌর বিএনপি নেতা আবু নাঈম চৌধুরী হালিম, বানিয়াচং উপজেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদির, সালাউদ্দিন ফারুক, মতিউর রহমান মতু, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা শামছুল আলম, হারুনুর রশিদ চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ুম ফারুক, আব্দুল আজিজ ফারুক, আব্দুস শহিদ মেম্বার, মোঃ আছকির মেম্বার, মোঃ সেলিম ও হাসানুর রহমান ইনু, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর বিএনপি নেতা আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ, শ্রমিকদল নেতা সফিকুল ইসলাম সফিক, লিটন আহমেদ, ছানাউল হক চৌধুরী সানু, তাজুল ইসলাম, সাইদুর রহমান কুটি, জাকির হোসেন রানা, মহিলা দল নেত্রী নুরজাহান বেগম, সুরাইয়া আক্তার রাখি, তানিয়া আক্তার প্রমুখ।