নিতেশ দেব, লাখাই থেকে ॥ লাখাই উপজেলায় এবার সব জাতের সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা বাদী কৃষকরা। সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা কৃষক ও সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর এ উপজেলায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছিল। এবার তা বেড়ে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১১শ’ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৩৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ বেশি হয়েছে। মোট আবাদকৃত জমিতে বারি-১৪, ১৫ ও বারি-১৭ জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় সরিষা আবাদ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিনদিন এ চাষে ঝুঁকছেন। অপরদিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ সরিষা চাষে কৃষকদেরকে উৎসাহিত করতে নানা প্রণোদনা দিয়েছেন। ২৫ জন কৃষককে প্রদর্শনী চাষের জন্য প্রতি বিঘার জন্য বীজ ও সার এবং আরো ৬শ’ কৃষককে প্রণোদনা হিসাবে ১ কেজি করে বীজ প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নের মৌবাড়ি গ্রামের কৃষক শের আলী জানান, তিনি এবার ১২ বিঘা জমিতে বারি-১৪, ১৫ ও ১৭ জাতের সরিষার চাষ করেছেন। প্রচুর ফুল ফুটেছিল এবং তা থেকে পরিপূর্ণ ছেঁইও ধরেছে। এ সময় আবহাওয়াও অনুকূলে ছিল। তিনি মনে করেন ফলন খুব ভাল হবে।
সিংহগ্রামের সরিষা চাষি নজরুল ইসলাম জানান, এবার আশা করছি সরিষার বাম্পার ফলন হবে। বীজ বপনের ২ মাসের মধ্যেই সরিষা ঘরে উঠে আসে। সরিষা উঠিয়ে বোরো চাষ করতে কোনো সমস্যা হয় না এবং বোরো ধানের ফলনেও কোনো প্রভাব পড়ে না। তার মতে সরিষার আবাদ করা মানেই অতিরিক্ত লাভের মুখ দেখা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, জমির অবস্থানুযায়ী কৃষকদের সঠিকমাত্রায় সার ও কীটনাশক দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সরিষা আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ২৫ জন কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ এবং ৬শ’ কৃষককে ১ কেজি করে বীজ দেয়া হয়েছে। এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী তিনি।