
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসানসহ ৪ জনের উপর হামলার ঘটনার প্রধান আসামি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিস্কৃত নেতা এনামুল হক সাকিবকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।
রবিবার (৬ জুলাই) রাতে শহরের চৌধুরী বাজার কিবরিয়া ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে উমেদনগর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মতিনের ছেলে। রাতেই তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি একেএম শাহাবুদ্দিন শাহীন। তার বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা মামলা নং ১২/১৪৬ তারিখ ১১-০৫-২০২৫ ইং।
এর আগে সমন্বয়কারীদের উপর হামলার ঘটনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হবিগঞ্জ এর বহিস্কৃত সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক সাকিবকে প্রধান আসামী করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ১৫/২০জনকে অজ্ঞাত রেখে ১১ মে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রতিবাদ সভা-বিক্ষোভ মিছিলে শেষে ফেরার সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসানসহ ৪ জনের উপর সাকিবের নেতৃত্বে উপরোল্লেখিত আসামীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় মাহাদীসহ অন্যান্যদের কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে হামলাকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত মাহদী হাসান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অপর আহত তিনজন হলেন মোঃ রকি, অন্তর মিয়া ও সাইদুল।
উল্লেখ্য, ওই হামলা মামলার আসামী মোঃ নুর আলম চৌধুরী ও রেজাউল হাসান রাজুকে গত ১১ মে জনতা আটক করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। একই মামলায় নুর মিয়া ও জনি রায় নামের আরও ২ জন কারাগারে আছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতাদের উপর হামলার ঘটনায় এই পর্যন্ত ৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সাকিবসহ এই মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো।