স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলা স্কাউটস এর কমিটি গঠন নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বাংলাদেশ স্কাউটস এর গঠন ও নিয়ম উপেক্ষা করে অনেকটা জোরপূর্বক নিজের মত করে কমিটি গঠন করতে চেয়েছিলেন। একপর্যায়ে প্রায় আড়াইশ কাউন্সিলরকে অনেকটা ভয়ভীতি দেখান। তিনি বলেন আমার সিদ্ধান্ত না মানলে কমিটি গঠন বন্ধ করে দিব। স্কাউটের কোন কমিটি হবে না।
সূত্র জানায়, গত ৩০ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলা স্কাউটস এর কমিটি গঠন করার জন্য কাউন্সিল আহবান করা হয়। প্রায় আড়াইশ কাউন্সিলর সভাস্থলে উপস্থিত হলেও হলরুম তালাবদ্ধ করে রাখা হয় প্রায় চল্লিশ মিনিট। পরে জানা যায় তালাবদ্ধ রাখলে অধৈর্য হয়ে যাতে কাউন্সিলরগণ চলে যান সেটাই ছিল কৌশল। বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সভাস্থলে এলে বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন- গঠনতন্ত্র ও নিয়ম অনুসারে যেভাবে কাউন্সিল করে কমিটি গঠন করার কথা সেভাবেই যেন কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন আমি যা করব সেটা আপনাদেকে মেনে নিতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বহুলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে বাধা দেন। জোরপূর্বক মাধ্যমিক শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রার্থী এবং মাধ্যমিক শিক্ষকদেরকে কাউন্সিলর হিসেবে গণ্য করে ভোট করতে চাইলে হাউজ থেকে তীব্র প্রতিরোধ আসে। সকল প্রার্থীকে নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করার দাবী উঠে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত উন্মুক্ত নির্বাচন দিয়ে সম্পাদক নির্বাচিত করতে বাধ্য করা হয়। কমিশনার, কোষাধ্যক্ষ, যুগ্ম সম্পাদক পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় সবাই নির্বাচিত হয়ে যান।
প্রায় দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এডহক কমিটি নির্বাচিত কমিটি সংক্রান্ত রেজুলেশন না করে টালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে যাচ্ছে। অনেকের মতে সাবেক এমপি আবু জাহিরের পছন্দের একজন প্রার্থী না আসায় নতুন কমিটির অনুমোদন দিতে ষড়যন্ত্র চলছে।
নির্বাচিত কমিটির লোকজন বার বার এডহক কমিটির আহবায়ক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল জলিল এর সাথে রেজুলেশন পাশ করা নিয়ে যোগাযোগ করলে আজ-কাল করে তিনি অজানা কারণে সময় ক্ষেপন করে যাচ্ছেন।
অথচ, নির্বাচন হওয়ার সাথে সাথে এডহক কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কমিটির অনুমোদন না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখছেন।
বিষয়টি জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ এর নজরে আনার জন্যও অনেক দাবি করছেন।