স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার আতুকুড়াসহ ৪ গ্রামের অপরাধ দমন কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা বিদেশী মদসহ মাদক ব্যবসায়ী ও অটোরিক্সা চালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। আটককৃতদের কাছ থেকে ৬৩ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য দেড় লাখ টাকা। শনিবার রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন-বানিয়াচং উপজেলার বাজুকা গ্রামের পতিকী রায়ের ছেলে প্রসেনজিৎ রায় (২৬) ও অটোরিক্সা চালক হবিগঞ্জ পৌর এলাকার উমেদনগরের মরহুম দরবেশ আলীর ছেলে আবুল কালাম (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার রাত ১২টার দিকে সিলেটের তারেক নামে এক মাদক ব্যবসায়ী বালু বোঝাই ট্রাক্টরে করে বিদেশী ব্র্যান্ডের মদগুলো আলমপুর এলাকায় আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ এর কাছে দেন। প্রসেনজিৎ সেখান থেকে মদগুলো আবুল কালামের অটোরিক্সায় উঠিয়ে নাগুরা সড়ক হয়ে আতুকুড়া দিয়ে আসছিলেন। পথিমধ্যে আতুকুড়া গ্রামে চুরি, জুয়া, ডাকাতি, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসা ও অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের আটক করে তল্লাসী করে তাদের কাছে উল্লেখিত মদের বোতলগুলো পান। বিষয়টি আতুকুড়া-সুবিদপুর, করিমনগর ও ইউসুফপুর গ্রামের অপরাধ দমন প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে আটককৃতদের জিজ্ঞাসবাদ করলে তারা জানান, মদগুলো পাশ্ববর্তী সুনারু গ্রামের উত্তম দাশ নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন। উত্তমের সাথে তিনি ২/৩ মাস ধরে এ ব্যবসা করে আসছেন। রাতেই তারা এ বিষয়টি বানিয়াচং থানা পুলিশকে অবগত করলে এসআই জিয়াউর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে মদের বোতলগুলো জব্দ করেন। এ সময় আতুকুড়াসহ চার গ্রামের অপরাধ দমন কমিটির নেতৃবৃন্দ আটককৃতদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বানিয়াচং থানার এসআই মোহাম্মদ মোস্তফা মিয়া জানান, আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে এবং জব্দকৃত মদের প্রকৃত মালিক মাদক ব্যবসায়ী উত্তম দাশকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।
উল্লেখ্য, এলাকার অপরাধ দমনে আতুকুড়া, সুবিদপুর করিমনগর ও ইউসুফপুর গ্রামের যুবকরা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেছেন। প্রতিদিন রাতে ওই কমিটির মাধ্যমে ৪টি গ্রামে ২০ জন যুবক পরিচয়পত্র লাগিয়ে রাতে গ্রামগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।