
কার্যক্রম স্বাভাবিক ॥ বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান
স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধবপুরের তেলিয়াপাড়ায় অবস্থিত এনজিও নিশান সোসাইটির কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চলছে। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা কার্যক্রমে উপস্থিত থেকে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করছেন। এতে গ্রাহক ও আমানতকারীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নিশানের চেয়ারম্যান ও পরিচালকবৃন্দ। পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রাহকদের মুনাফা পরিশোধে প্রস্তুত রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
পরিচালকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়- দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রি মহল। তারা অবৈধ স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে প্রতিষ্ঠানের আমানতকারীদের ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। নিয়মানুযায়ী অফিস পরিচালনাসহ তাদের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। আমানতকারীদের যে কোন প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের সাথে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান তারা।
গতকাল রবিবার নিশান সোসাইটির চেয়ারম্যান, নির্বাহী পরিচালক, পরিচালকের স্ত্রী ও দুই ছেলের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে মর্মে একটি সংবাদ কয়েকটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নিশানের গ্রাহক ও আমানতকারীদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নজরে আসে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের। তাদের দাবী, চিকিৎসার জন্য নিশান সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মোঃ মঈনুদ্দিন বেলাল ও তার স্ত্রী মোছাঃ আমেনা বেগম ভারতের ভিসার জন্য আবেদন করেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত না করায় তাদের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মূলত, দেশত্যাগ ও আমানতকারীর টাকা আত্মসাত করা তাদের কোন উদ্দেশ্য নয়। তাদের ভুলের কারণে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভুল ভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
নিশান সোসাইটির পরিচালক আব্দুল জলিল সায়েম জানান- দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এনজিও নিশানের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করে আসছি। কোন দিন আমাদের প্রতিষ্ঠান ও আমাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেনি। দেশে আমাদের ২৮টি শাখা রয়েছে। গ্রাহকদের জমানো টাকার চেয়ে আমাদের নিজস্ব সম্পদের পরিমাণ অনেক বেশি। যে কারণে দেশের মাটিতে আমাদের সম্পদ রেখে দেশত্যাগ করার প্রশ্নই আসে না। আমি আমানতকারীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান করছি।
নিশান স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও উন্নয়ন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মঈনুদ্দিন বেলাল বলেন- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) যে চিঠি (প্রজ্ঞাপন) ছড়িয়ে পড়েছে, তা মূলত, আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে পাসপোর্ট করেছিলাম। পাসপোর্ট করার আগে প্রশাসনের কাছ থেকে আমার অনুমতি নেয়া প্রয়োজন ছিল। যা আমি নিতে পারিনি বলে সকলের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা সকলেই মাধবপুরে প্রধান কার্যালয়ে আছি। সবাইকে যেভাবে কথা দিয়েছিলাম, আমরা সেভাবেই কাজ করছি। কথানুযায়ী আমরা কাজ সফল করার চেষ্টা করছি। আইনের নীতি ভঙ্গ করে আমি দেশের বাহিরে যাব না। আমরা প্রধান কার্যালয়ে রয়েছি, এখান থেকেই কার্যক্রম চলবে। শুধুমাত্র চিকিৎসার জন্য পাসপোর্ট করা হয়েছিল। এছাড়া আমাদের অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই। নিশানের চেয়ারম্যানসহ পরিচালকরা সকলেই প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে গ্রাহক ও আমানতকারীদের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।