হামলা চালিয়ে জোরপূর্বক খননকৃত কবর ভরাট ॥ ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবল উপজেলার পুটিজুরি ইউনিয়নের কুমেদপুর গ্রামে মাজারের কবরস্থানে লাশ দাফনে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। লাশ দাফনের পূর্বে অনুমতি না নেয়ায় তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে জোরপূর্বক খননকৃত কবর ভরাট করে ফেলেন। এতে নিরূপায় হয়ে অন্যত্র লাশ দাফন করেন মরহুমের পরিবার।
এদিকে, কবরস্থানে লাশ দাফনে বাঁধা দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। তারা ওই আওয়ামী লীগ নেতা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
জানা যায়, পূর্ব পুরুষ থেকে কুমেদপুর গ্রামের মাজার সংলগ্ন এলাকায় লাশ দাফন করে আসছেন স্থানীয় লোকজন। গত বুধবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের বাসিন্দা শাহ হাবিবুর রহমান (৬৭) সিলেট মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান। রাতে মরহুমের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন তার ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহ্ সামাদুর রহমান। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মাজারের কবরস্থানে মরহুমের লাশ দাফন করতে কবর খনন করেন মরহুমের পরিবারের লোকজন। জানাজার নামাজ শেষে লাশ দাফন করতে গেলে এতে বাঁধা দেন আব্দারায়ন গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল্লাহ মিয়া ও তার ছেলে বাহুবল উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম আজাদ। এ নিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহ সামাদুর রহমানের সাথে তাদের বাক-বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আবদুল্লাহ মিয়া, তার ছেলে সাইফুল ইসলাম আজাদ গং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে লাশ দাফন না করে ভয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন মরহুমের আত্মীয়-স্বজন। ওই সময় উল্লেখিতরা জোরপূর্বক খননকরা কবর মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলে। নিরূপায় হয়ে বেলা আড়াইটায় কবরস্থানের পাশর্^বর্তী অন্য স্থানে শাহ হাবিবুর রহমানের লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে পুটিজুরী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে পুলিশের উপস্থিতিতে হামলাকারীরা লাশ দাফনে বাঁধা দেয়। অভিযোগ রয়েছে ওই সময়ে তারা শাহ সামাদুর রহমানের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহ সামাদুর রহমান বলেন, ‘আমার বাবা মারা গেলে কবরস্থানে লাশ দাফন করতে যাই। তবে অনুমতি না নেয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আব্দুল্লাহ মিয়া ও তার ছেলে প্রভাব দেখিয়ে লাশ দাফনে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করলে আমরা বাবার লাশ অন্যত্র দাফন করি।’
বাহুবল মডেল থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মাজার সংলগ্ন জায়গা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এতে লাশ দাফনে বাঁধার খবর পেয়ে পুটিজুরি ফাঁড়ি কেন্দ্রের পুলিশকে প্রেরণ করি। তারা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’