নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের মেম্বার রনজিৎ সূত্রধর ও তার ভাতিজা সরকারি চাকুরীজীবি পিযূষ সূত্রধরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একই গ্রামের বাসিন্দা স্বপন সূত্রধর, নয়ন সূত্রধর, সঞ্জয় সূত্রধর ও সুমন মিয়া। ১৯ নভেম্বর এই অভিযোগটি দায়ের করা হয়।
লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় ইউপি সদস্য রনঞ্জিত সূত্রধর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করেছেন। তার কাছ থেকে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধি, মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ডসহ টিসিবি কার্ড সুবিধা নিতে গেলেও কমিশন দিতে হয়। যারা কমিশন দেন তারাই এই সুবিধা পাচ্ছেন। এতে প্রকৃত দরিদ্ররা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের টাকা আত্মসাত করেছেন। গ্রামের রাস্তার জন্য ২ লাখ টাকা সরকারি অনুদান এনে নিজ বাড়ির রাস্তা নির্মাণ করেছেন। জেলা পরিষদ থেকে মন্দিন উন্নয়নের জন্য দেড় লাখ টাকা সরকারি অনুদান উত্তোলন করে ৭৫ হাজার টাকার কাজ করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে গ্রামবাসী তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান ৫০ হাজার টাকা অফিসে ফেরত দিতে হবে। এ প্রকল্প থেকেও টাকা আত্মসাত করেন তিনি। সরকারি অনুদানে তার পুকুরে পাকা ঘাটলা নির্মাণ করেন। রনঞ্জিত সূত্রধরের ভাতিজা হবিগঞ্জ প্রধান ডাকঘরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী পিযুষ সূত্রধর চাচার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে রামপুর শ্মশানঘাট পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও স্কুল কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ইতিপূর্বে পিযুষ সূত্রধরকে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চাকুরী থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এখনো পিযুষ সূত্রধর নানা অনিয়ম করে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন।