এক সময় ঘাটিয়া এলাকার একাংশকে কাঠ পট্টি হিসেবেই সবাই চিনতো ॥ নারকেল হাটায় ছিল বড় নৌকাঘাট
মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ হবিগঞ্জ শহরের বাণিজ্যিক এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিন তাঁর স্মৃতিচারণে আরো বলেন- তৎকালে হবিগঞ্জ শহরের লতিফ হোটেল ছিল উল্লেখযোগ্য। ওই হোটেলে মাটিতে চাটাইয়ে বসে খেতে হতো। এক আনা দুই আনা দিয়ে তৃপ্তি সহকারে পেট ভরে খাওয়া যেতো। ওই সময়ে শহরের কিছু কিছু বিত্তশালীকে কাঠের তৈরী ঘরে বসবাস করতে দেখা গেছে। তাছাড়া ওই সময়ে শহরের চৌধুরী বাজার এলাকা ও বর্তমান ঘাটিয়া এলাকা কাঠের ব্যবসার জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। বর্তমান এসডি স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী সুখলাল সূত্রধর ও দুলাল সূত্রধরের পিতা ক্ষেত্রমোহন সূত্রধর ছিলেন ঘাটিয়া এলাকার অত্যন্ত সুপ্রতিষ্ঠিত কাঠ ব্যবসায়ী। তৎকালীন সময়ে কাঠের জন্য প্রসিদ্ধ হওয়ায় ঘাটিয়া এলাকার একাংশকে কাঠ পট্টি হিসেবেই সবাই চিনতো। এছাড়া শহরের চৌধুরী বাজার নারকেল হাটায় অনেক বড় একটি নৌকাঘাট ছিল। এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে মালবাহী বিরাট বিরাট নৌকা এসে ভিড় করতো। তাছাড়া শহরের পুরান বাজারে বিওসি ঘাট তেলের জন্য উল্লেখযোগ্য ছিল। এখানে একটি দোকানে কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রোল বিক্রি হতো। শহরের কাঁচামাল হাটা বানিয়াচং থানার অন্তর্ভূক্ত ছিল। আর কুশিয়ারহাটায় আখ বিক্রি হতো। বর্তমানে এ স্থানটি সেলুন পট্টি হিসেবে অতি পরিচিত।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিন বলেন, তৎকালীন সময়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে উমেদনগরে মাঝ দিয়ে প্রবাহিত ঝালবাড়ির খাল ছিল উল্লেখযোগ্য। এ খাল দিয়ে অনেক বড় বড় নৌকা আসা-যাওয়া করতো। আর বর্তমান জেলা পরিষদ বিল্ডিংয়ের স্থানে ছিল নৌকাঘাট। এখানে একটি বড় ডহর ছিল। তিনি নিজেও বানিয়াচং বাড়ি হতে নৌকায় করে এ ঘাটে জ¦ালানী নিয়ে এসেছেন বলে উল্লেখ করেন।